নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় গেট সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় গেট সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ধাক্কা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বেলতলি এলাকার প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ইন্ধনে তাঁর লোকেরা বিকেল চারটার দিকে শিক্ষার্থীদের হামলা ও বাসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটনায়। এতে ছাত্রীসহ অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের ময়মনসিংহের সদর উপজেলার উইনারপার এলাকার কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেও হামলা চালানো হয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকেল চারটার দিকে বেলতলি এলাকার প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ট্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাসে ধাক্কা দেয়। এতে শিক্ষার্থীরা ট্রাকটি থামিয়ে চালকের কাছে ধাক্কার দেওয়ার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ট্রাকের চালকের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কিছু ব্যক্তি অতর্কিতভাবে বাসে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। এতে একাধিক ছাত্রীসহ বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হন। আহত শিক্ষার্থীদের ওই এলাকার বেসরকারি কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় তাঁদের ওপর ফের হামলা করা হয়।

বেলতলি এলাকায় কিছু ব্যক্তির হামলায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য আল জাবির।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকিউর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। তবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার কারণ তাঁরা জানতে পারেননি।