জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস, নিন্দা জানাল ওআইসি

ওআইসি
ওআইসি

জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস খোলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ৫৭ দেশের মুসলিম জোটটি বলেছে, মার্কিন প্রশাসন সোমবার অন্যায়ভাবে জেরুজালেমে দূতাবাস খুলেছে। যা সুস্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং জেরুজালেম নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবস্থানের প্রতি বুড়ো আঙুল প্রদর্শন।

ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ফোরামের (সিএফএম) বর্তমান সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ জোটের পক্ষে সোমবার রাতে এ বিবৃতি দিয়েছে।

ওআইসি মার্কিন প্রশাসনের অবৈধ ওই সিদ্ধান্তের কঠোর নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তা প্রত্যাখান করেছে। মার্কিন প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনি জনগণের ঐতিহাসিক, আইনসম্মত, স্বাভাবিক অধিকারের প্রতি হামলা। ওই পদক্ষেপ জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠিত অবস্থান, আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তি এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রতিফলিত আন্তর্জাতিক মতামতকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। যা প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে অবজ্ঞার শামিল। 

ওআইসির মতে, মার্কিন প্রশাসনের এ ধরনের দুঃখজনক পদক্ষেপ আল কুদস আল শরিফ এবং ফিলিস্তিন নিয়ে বিদ্যমান সব আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন প্রস্তাব ও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ওআইসি বিশ্বাস করে, মার্কিন প্রশাসন নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতির প্রতি স্ববিরোধিতা করছে আর ফিলিস্তিনের ন্যায়সংগত অধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনকে অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধা করছে। এর মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, মুসলিম উম্মাহর অধিকার এবং ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের কোনো শ্রদ্ধা নেই। ফলে ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কার্যকর ভূমিকা থাকবে না।

ওআইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দুই রাষ্ট্রের ভিত্তিতে সমাধানের প্রয়াসকে সুরক্ষা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং রাষ্ট্র গঠনের প্রতি সমর্থন যুগিয়ে যাবে।