আরও তিন দিন ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে, বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বৈশাখ বিদায় নিয়ে এসেছে জ্যৈষ্ঠ মাস। কিন্তু কালবৈশাখীর দাপট কমছেই না। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে কালবৈশাখীর সঙ্গে টানা কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হয়েছে। কিছুটা বিরতি দিয়ে সকালবেলায়ও আরেক দফা বৃষ্টি হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। রাজধানী ঢাকায় আজ মধ্যরাত থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ২৯ মিলিমিটার। বৃষ্টি হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৮২ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৩ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬টি কেন্দ্র এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। সে অনুয়ায়ী বেশি বৃষ্টি হয়েছে ঢাকাসহ দেশের উত্তর-পূর্ব, মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোয়। তুলনামূলক কম বৃষ্টি হয়েছে খুলনা বিভাগে। আর বরিশাল বিভাগে একেবারেই বৃষ্টি হয়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকালে পূর্বাভাস দিয়েছে, কালবৈশাখীর কারণে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এই ধারা আরও তিন দিন চলতে পারে। রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এর সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোয় ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ দেশের অন্যান্য এলাকার ওপর দিয়ে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। এ জন্য এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা দেখাতে বলা হয়েছে।

বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসের এ সময় দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দাবদাহ বয়ে যায়। দাবদাহের কারণে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়। কিন্তু কালবৈশাখী আর বৃষ্টি কারণে এখন তাপমাত্রা বেশ কম। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে—৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে ৩২ দশমিক ৫, সিলেটে ৩২ দশমিক ৩, রাজশাহীতে ৩৪ দশমিক ৪, রংপুরে ৩১ দশমিক ৫, খুলনা ৩৪ দশমিক ৬ এবং বরিশালে ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।