প্রতিপক্ষের আগুনে পুড়ল ইউপি সদস্যের বাড়িসহ ২৫ ঘর

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের একটি গ্রামে প্রতিপক্ষের দেওয়া আগুনে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের বাড়িসহ আশপাশের ২৫টি ঘর পুড়ে গেছে। প্রতিপক্ষের নির্বিচার হামলা ও ভাঙচুরের সময় একটি মসজিদের মাইক ভেঙে ফেলা হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বোকাইনগর ইউনিয়নের স্বল্প পশ্চিমপাড়া গ্রামে দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিচার, সালিসসহ বিভিন্ন বিষয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. মোস্তাকিমের সঙ্গে বালুচরা গ্রামের শাহেদ আলীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে শাহেদ আলী তাঁর দুই ছেলে নয়ন ও স্বপনসহ অন্তত ৮০ জন অস্ত্রধারী নিয়ে মোস্তাকিম ও তাঁর স্বজনদের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেন। এতে কমপক্ষে ২৫টি ঘর পুড়ে যায়। ১৩টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীরা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। তারা মোস্তাকিমের বাড়ির পাশে একটি মসজিদের মাইক ভাঙচুর করে এবং একটি জানালা ভাঙচুরের চেষ্টা করে। আগুন দেওয়া একটি ঘর থেকে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুড়ে যাওয়া একটি কোরআন শরিফ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে গৌরীপুর থানার পুলিশ এবং ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শাহেদ আলীর লোকজনকে লক্ষ্য করে আটটি গুলি ছোড়ে। এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় শাহেদ আলীর লোকজন একই ইউনিয়নের মীরাকান্দার ইমামউদ্দিনের (৬০) বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে।
ইমামউদ্দিন জানান, তাঁর সঙ্গে শাহেদ আলীর কোনো বিরোধ ছিল না। মোস্তাকিম জানান, হামলাকারীরা তাঁর স্বজনদের মোটরসাইকেল, মুঠোফোন, স্বর্ণালংকার, হালের গরুসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে।
গৌরীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খলিলুর রহমান জানান, শনিবার রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শাহেদ বাহিনীর চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শাহেদ আলী ও তাঁর ছেলে স্বপনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।