প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুই বাল্যবিবাহ বন্ধ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বুধবার উপজেলার দুটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন হলো গোয়ালন্দ প্রপার হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও অপর জন মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

বাল্যবিবাহ বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু নাসার উদ্দিন। তাঁর সঙ্গে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা সালাম সিদ্দিকী, স্থানীয় গ্রাম পাহারাদার এবং স্থানীয় বেসরকারি সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে ছিল পুরো বিয়ের আয়োজন। বাড়ির উঠানে শামিয়ানা টানানো। উভয় স্কুলছাত্রীর হাত সাজানো ছিল মেহেদির রং। পরানো হয়েছে হাতে বিয়ের আংটি। আত্মীয় স্বজনসহ আশপাশের লোকজন ছিল বাড়ি ভর্তি। রান্না-বাড়া শেষে খাওয়া-দাওয়া ছিল শেষের দিকে। আমন্ত্রিত অতিথিরা দুপুরের খাবার শেষে বরপক্ষের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

গোয়ালন্দ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড দেওয়ান পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মালেক। তাঁর মেয়ে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া সুমাইয়া আক্তারের (১৪) সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় রাজবাড়ী জেলা সদরের খানখানাপুর এলাকার রাজীব শেখের (১৯)। দুপুরে মেয়ের বাড়িতে ধুমধাম বিয়ের আয়োজন চলছিল। এমন সময় বাড়িতে গিয়ে হাজির হন ইউএনও মো. আবু নাসার উদ্দিনসহ অন্যরা। এতে কনে পক্ষ হতভম্ব হয়ে যায়। পরে বরসহ কনে পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে মুচলেকা নিয়ে বাল্যবিবাহটি বন্ধ করা হয়।

অপরদিকে, উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড গফুর মণ্ডল পাড়ার সাঈদ সরদারের মেয়ে মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী আরিনা খাতুনের (১৩) বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে ইউএনও মো. আবু নাসার উদ্দিনসহ অন্যরা সেখানে গিয়ে উভয় পক্ষের মুচলেকা নিয়ে বাল্যবিবাহটি বন্ধ করেন।

ইউএনও মো. আবু নাসার উদ্দিন প্রথম আলো বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলাকে বাল্যবিবাহ ও মাদকমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে। যেখানে এ ধরনের সংবাদ পাওয়া যাবে, সেখানে অভিযান চালানো হবে। বাল্যবিবাহ বা মাদকের সঙ্গে যারা আপোস করতে চাইবে, প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।