মেঘনায় বালুবাহী কার্গোর সঙ্গে সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রিনলাইন-৩

ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে দ্রুতগামী জলযান (ওয়াটার বাস) গ্রিনলাইন-৩। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় চাঁদপুর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে মেঘনা নদীতে একটি বালুবাহী কার্গোর (বাল্কহেড) সঙ্গে গ্রিনলাইন-৩-এর সংঘর্ষ হয়।

দুর্ঘটনায় গ্রিনলাইনের দুই যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন। জলযানটির একপাশের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ জানান, আজ সকাল আটটায় দুইশর মতো যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসে গ্রিনলাইন-৩। বেলা ১১টার দিকে চাঁদপুর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এখলাসপুর নামক এলাকা অতিক্রমের সময় একটি বালুবাহী কার্গোর সঙ্গে এটির ধাক্কা লাগে। এতে গ্রিনলাইন-৩-এর একপাশের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার সময় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে নিরাপত্তার স্বার্থে জলযানটি এখলাসপুর এলাকায় নোঙর করে রাখা হয়েছে।

গ্রিনলাইন ওয়াটার ওয়েজের ব্যবস্থাপক শামসুল আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় অনেক বৃষ্টি হচ্ছিল। এ কারণে গ্রিনলাইনের চালক ডুবন্ত ওই বাল্কহেডটি দেখতে পাননি। আকস্মিক ধাক্কা লাগে। ক্ষতিগ্রস্ত জলযানটি এখলাসপুর নামক স্থানে নোঙর করে রাখা হয়েছে। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে গ্রিনলাইন-২ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় দুই যাত্রী মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা সার্বক্ষণিক জলযানটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

গত বছরের ২০ অক্টোবর ঢাকা থেকে বরিশাল আসার পথে চাঁদপুরের মেঘনা মোহনা অতিক্রম করার সময় গ্রিনলাইন-২ জলযানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পান পাঁচ শতাধিক যাত্রী। ওই বছরই আরেক দুর্ঘটনায় তলা ফেটে যায় গ্রিনলাইন-২-এর। দ্রুত নোঙর করায় যাত্রীদের নিরাপদে তীরে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়।