দীঘিনালায় ইউপিডিএফের সাবেক সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আজ উজ্জ্বল কান্তি চাকমা (৫৫) নামে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সাবেক সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার দুর্গম রাখাল মহাজন পাড়ার মৃত গৌতম বুজ্জি চাকমার ছেলে। ইউপিডিএফ হত্যাকাণ্ডের জন্য জেএসএস (এমএন লারমা) পক্ষকে দায়ী করেছে। তবে জেএসএস (এমএন লারমা) পক্ষ দাবি করেছে, ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জেএসএস (এমএন লারমা) পক্ষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

৩ মে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত মহন রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা। পরদিন তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যাওয়ার সময় নিহত হন ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ পাঁচজন।

ইউপিডিএফের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাত নয়টায় মেরুং ইউনিয়নের রাখাল চন্দ্র মহাজন পাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে জেএসএস (এমএন লারমা) পক্ষের সদস্যরা অস্ত্রের মুখে উজ্জ্বল কান্তি চাকমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মঙ্গলবার রাখাল মহাজন পাড়া এলাকার রাস্তার পাশে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে চলে যায়।
ইউনাইটে পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক মাইকেল চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘উজ্জ্বল কান্তি চাকমা আমাদের সংগঠনের সাবেক সদস্য। এক বছর আগে সে বয়সের কারণে দল থেকে অবসর নিয়ে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২১ মে রাতে তাঁকে নিজ বাসা থেকে জেএসএস (এমএন লারমা) পক্ষের লোকজন ডেকে নিয়ে তাঁকে হত্যা করে ফেলে যায়।’

জনসংহতি সমিতির (জেএসএস, এমএন লারমা) পক্ষের কেন্দ্রীয় সহকারী তথ্য ও প্রচার সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা ইউপিডিএফের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট উল্লেখ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ঘটনার সঙ্গে আমাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং আমরা এ ঘটনা সম্পর্কে অবগতও নই। ওরা (ইউপিডিএফ) নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের সংগঠনের ওপর মিথ্যা দায় চাপাচ্ছে।’

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুদ্দীন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগও করতে আসেনি।’