গাজীপুর নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি

নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থার প্রশ্নে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটি এ কথা জানিয়েছে।
সদ্যসমাপ্ত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে সিইসি ও অন্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধিদল।

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন একটাই। আস্থা রাখলেও আসতে হয়, না রাখলেও আসতে হয়। তবে তাঁরা আরেকটি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। 

গয়েশ্বর বলেন, তাঁরা ইসিকে বলেছেন, রাজনৈতিক দলসহ সবাইকে আস্থায় রাখা ইসির দায়িত্ব। মানুষ, রাজনৈতিক দল যদি আস্থা হারায়, তাহলে ইসি দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেসব অনিয়ম হয়েছে, বিএনপি তা লিখিত আকারে ইসির কাছে তুলে ধরেছে। তারা ইসিকে বলেছে, এসব অনিয়ম মাথায় রেখে গাজীপুরের নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়।

গয়েশ্বর বলেন, যে নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে না, সে নির্বাচনেও ভোটাররা ভোট দিতে না পারলে, যে নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে, সেই নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, তাঁরা সিটি নির্বাচনের সাংসদদের প্রচারের সুযোগ দেওয়ার বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, সংসদ সদস্যরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাঁরা প্রচারণার সুযোগ পেলে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে না। কমিশন বলেছে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিএনপিও এ সুযোগ পাবে। জবাবে তাঁরা বলেছেন, বিএনপি এই সুযোগ চায় না। বিএনপি সবার জন্য সমান সুযোগ চায়।
স্থায়ী কমিটির এই দুই সদস্য ছাড়াও প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দীন আহমদ।