সৌদি আরব গেছেন সাংসদ আবদুর রহমান বদি

আবদুর রহমান বদি। ফাইল ছবি।
আবদুর রহমান বদি। ফাইল ছবি।

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সরকারদলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদি সৌদি আরব গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি।

সাংসদ বদির ব্যক্তিগত সহকারী হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, সাংসদ আবদুর রহমান বদি ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গেছেন। সৌদি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে করে বৃহস্পতিবার রাতে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে আছেন বন্ধু গিয়াস উদ্দিন, নুরুল আকতার ও উখিয়ার মৌলভি আলী নূরী। হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, সাংসদের মেয়ে সামিয়া রহমান ও জামাতা রানা আশরাফ গত ২৬ মে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গেছেন।

দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। এই অভিযানে গত ১৭ দিনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১২৪ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এই সময়ে সাংসদ বদির সৌদি আরব যাওয়াকে কেউ কেউ ভিন্নভাবে দেখছেন। টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযান চলার সময় সাংসদ বদির হঠাৎ করে সৌদি আরবে যাওয়াটা একধরনের কৌশল। অভিযান থেকে বাঁচতেই তিনি সৌদি আরব গেছেন।

তবে সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী হেলাল উদ্দিন দাবি করেন, মাদকবিরোধী অভিযানের ভয়ে দেশ ছাড়ার বিষয়টি অসত্য। কারণ, তিনি অনেক আগেই ওমরাহ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সব নিয়মনীতি মেনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিসাপেক্ষে তিনি সৌদি আরব গেছেন। ১৭ জুন দেশে ফিরবেন তিনি।

উল্লেখ্য, মাদকবিরোধী অভিযানের আগে পাঁচটি রাষ্ট্রীয় সংস্থার সমন্বয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও পৃষ্ঠপোষকদের একটি তালিকা তৈরি করে সরকার। সেই তালিকায় মাদকের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে সাংসদ আবদুর রহমান বদির নাম। এই সাংসদের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ অনেক পুরোনো। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকায় এক নম্বরে আছে তাঁর নাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা টেকনাফের শীর্ষ মানব পাচারকারীর তালিকাতেও তাঁর নাম ছিল।