নতুন মোড়কে মেয়াদোত্তীর্ণ গুঁড়া দুধ!

মেয়াদোত্তীর্ণ ১ হাজার ১০০ বস্তা খাদ্যপণ্য জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: সংগৃহীত
মেয়াদোত্তীর্ণ ১ হাজার ১০০ বস্তা খাদ্যপণ্য জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: সংগৃহীত

শিশুখাদ্য হিসেবে আমদানি করা গুঁড়া দুধের মেয়াদ দুই বছর আগেই শেষ হয়েছে। কিন্তু সেই গুঁড়া দুধ প্যাকেট বদলে নতুন প্যাকেটে ভরে বিক্রি করা হচ্ছে। নতুন প্যাকেটে নতুন করে মেয়াদের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এমন গুঁড়া দুধ আটক করা হয়েছে।

কেবল গুঁড়া দুধই নয়, এমন মেয়াদোত্তীর্ণ চানাচুর, চিপস, নুডলসের মতো পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর কেল্লার বাজার ও শ্মশান ঘাট এলাকায় অভিযান চালান। এসব জায়গা থেকে ১ হাজার ১০০ বস্তা মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছিল।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, শিশুখাদ্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মেয়াদোত্তীর্ণ এমন খাবার শিশুরা খেলে যেকোনো ধরনের রোগবালাই হতে পারে। এসব খাবার বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর কেল্লার বাজার ও শ্মশান ঘাট এলাকার চার ব্যবসায়ীকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিয়াম এন্টারপ্রাইজের মীর হোসেন, সাইফুল ইসলাম, রতন ট্রেডার্সের মো. রতন ও হ‌ুমায়ূন এন্টারপ্রাইজের ইমাম হাসান। জব্দ করা খাবার আজ মাতুয়াইল এলাকায় নিয়ে নষ্ট করা হবে।

সারওয়ার আলম আরও জানান, গতকাল শনিবার মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই, নুডলস ও চিপস রিপ্যাকিং করে বিক্রয়ের দায়ে রাজধানীর চকবাজারে ছোট কাটারায় চার ব্যবসায়ীকে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‍্যাব-১০। এতে সহায়তা করে বিএসটিআই। অভিযানে ১৩১ বস্তা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য জব্দ করা হয়।