সাফারি পার্কে ব্লু ওয়াইল্ডবিস্টের তিন শাবক

সাফারি পার্কে মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিন ব্লু ওয়াইল্ডবিস্ট শাবক। ছবি: সাদিক মৃধা
সাফারি পার্কে মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিন ব্লু ওয়াইল্ডবিস্ট শাবক। ছবি: সাদিক মৃধা

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রথমবারের মতো বাচ্চা দিয়েছে ব্লু ওয়াইল্ডটিম। গতকাল রোববার পার্কের আফ্রিকান সাফারি জোনে তিনটি শাবকের জন্ম হয়। এ নিয়ে পার্কে ব্লু ওয়াইল্ডবিস্টের সংখ্যা হলো ১৩টি।

সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, সেখানে দুই জাতের ওয়াইল্ড বিস্ট রয়েছে, ব্লু ও ব্ল্যাক। জানা গেছে, গাজীপুরের সাফারি পার্কে প্রথমবারের ব্লু ওয়াইল্ডবিস্টের জন্ম হলেও কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক ও ঢাকা চিড়িয়াখানায় এর আগে ওয়াইল্ডটিম শাবকের জন্ম হয়েছিল। ২০১৩ ও ২০১৫ সালে কয়েক দফায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসব ওয়াইল্ডটিম আমদানি করা হয়। পরে পার্কের আফ্রিকান সাফারি জোনে অ্যান্টি লোপ-জাতীয় অন্য সব প্রাণীর সঙ্গে অবাধে বিচরণ করতে অবমুক্ত করা হয় এগুলোকে।

সাফারি পার্কের বন্য প্রাণী পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, ওয়াইল্ডটিম তৃণভোজী প্রাণী। এরা দলবদ্ধভাবে চলাচল করে। ওয়াইল্ডটিম কচি ও ছোট ঘাস খেতে বেশি পছন্দ করে। পার্কে দুই প্রকার ওয়াইল্ডটিম থাকলেও এই প্রথম ব্লু ওয়াইল্ডটিম বাচ্চা দিয়েছে। এখন মাকে সঙ্গে নিয়ে দলের সঙ্গে ছোটাছুটি করছে শাবক তিনটি। তিনি জানান, ওয়াইল্ডটিম বছরে একটি শাবকেরই জন্ম দেয়।

পার্কের আরেক বন্য প্রাণী পরিদর্শক সরোয়ার হোসেন খান জানান, আফ্রিকার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে এদের অবাধ বিচরণ রয়েছে। বিশেষ করে, কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে, তানজানিয়া, মোজাম্বিক, অ্যাঙ্গোলা, জাম্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় এদের বেশি দেখা মেলে। ওয়াইল্ডটিম প্রকৃতিতে ২০ বছর বাঁচলেও আবদ্ধ পরিবেশে ২৪ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার রেকর্ড রয়েছে। নারী ওয়াইল্ডটিম ১৬ মাসে এবং পুরুষ ওয়াইল্ডটিম ২ বছরে প্রজনন সক্ষম হয়। শাবক আট মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত মায়ের সঙ্গে থাকে। বর্ষাকাল এদের প্রজননের প্রকৃত সময়।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোতালেব হোসেন জানান, শাবকগুলো আফ্রিকান সাফারিতে এখন ঝোপ ঝাড়ে দলের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে এ শাবকগুলোর জন্ম হলো।