কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিভিন্ন উন্নয়নকাজে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো আলাদা দুই নোটিশে তাঁকে ১০ ও ১২ জুন সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, দুর্নীতির দুটি অভিযোগ নিয়ে আলাদাভাবে অনুসন্ধান করছেন সংস্থার দুই সহকারী পরিচালক মো. খায়রুল হক ও মো. আ. সালাম আলী মোল্লা।

১০ জুন সকাল ১০টায় সুধেন্দু বিকাশকে তলব করে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মো. আ. সালাম আলী মোল্লার দেওয়া নোটিশে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়, বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী ও অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বক্তব্য দেওয়ার জন্য তাঁকে দুদকে আসতে বলা হয়েছে।

১২ জুন তলব করে মো. খায়রুল হকের দেওয়া নোটিশে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়, সিভিল অধিবেশনের মেইনটেন্যান্স, কনস্ট্রাকশন, কেনাকাটা ও ফান্ড ম্যানেজমেন্টে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের শত শত কোটি টাকার অনিয়ম, দুর্নীতি, আত্মসাৎ ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এ বিষয়ে তাঁকে ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেবিচকে কী কী প্রকল্পের কাজ হয়েছে, তার তালিকা; এই দুই অর্থবছরে কেনাকাটা খাতে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ; একই সময়ে নির্মাণ ও সংস্কার খাতে কত ব্যয় হয়েছে, তার বিবরণ; আইটি খাতে কত বরাদ্দ ছিল এবং কী কী কাজ করা হয়েছে, তার বিবরণ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সব ধরনের নিরীক্ষা প্রতিবেদনসহ দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।

এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ওই সময় অভিযোগ ছিল, নয়টি প্রতিষ্ঠান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলীকে নির্দিষ্ট হারে ঘুষ দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।