ত্রিশালে চালককে হত্যা করে ট্রাক ছিনতাই

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় চালককে হত্যার পর একটি মিনিট্রাক ছিনতাই করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে কয়েস মিয়া নামের ওই চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে সোমবার ভোরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দঘাট থেকে মিনিট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ত্রিশালের বাগান গ্রামের আলাউদ্দিন (৪০), নবী হোসেন (২০) ও রায়মনি গ্রামের কাজল মিয়া (২০)।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, শনিবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আলাউদ্দিন, নবী হোসেন, কাজল মিয়া, হোসেন আলী, আলম মিয়া, জালাল মিয়া ও খলিল ভালুকা থেকে ঢাকায় বরই নেওয়ার কথা বলে কয়েস মিয়ার মিনিট্রাকটি ভাড়া নেন। কয়েস মিয়াই ট্রাকের মালিক। ভালুকায় যাওয়ার পথে বরইয়ের পাইকার নামধারী ছিনতাইকারীরা ত্রিশালের বাগান রাঙ্গামাটি এলাকায় ট্রাক থামাতে বলেন। ট্রাক থামানোর পর তাঁরা কয়েসকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে হোসেন আলী, আলম মিয়া, জালাল মিয়া ও খলিল তাঁকে বেঁধে নিয়ে যান। অন্যরা ট্রাক নিয়ে চলে যান। এ ঘটনায় কয়েসের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার পরদিন ভালুকা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ভালুকা থানার পুলিশ ঘটনাটি ত্রিশাল থানার পুলিশকে জানায়।
সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে গোয়ালন্দ থানার পুলিশ ট্রাকসহ আলাল, নবী ও কাজলকে আটক করে। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিন রাতেই ত্রিশাল সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কয়েসের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, কয়েসের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবদুল জলিল সোমবার রাতেই ত্রিশাল থানায় মামলা করেছেন। গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি মো. আবুল বাসার বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, ময়মনসিংহ থেকে মিনিট্রাকটি চুরি করে বিক্রির জন্য তাঁরা প্রথমে যশোরে যান। কিন্তু বিক্রি করতে না পেরে তাঁরা পরে মাগুরায় যান। সেখানেও ব্যর্থ হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
ওসি আরও বলেন, সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারাপারের সময় মিনিট্রাকসহ ওই তিনজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়। এরপর রাজবাড়ীর মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে তাঁদের হাজির করা হয়।