বাজেটের সমালোচনাকারীদের 'দিনকানা' বললেন হাছান মাহমুদ

হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

বাজেটের সমালোচনাকারীদের ‘দিনকানা’ বললেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতা ও বিশেষ কারণে অজ্ঞ কিছু ব্যক্তি এখন দিনকানা হয়ে গেছেন। তাঁরা বাজেটের খুঁটিনাটি পড়ার আগেই, এমনকি বাজেটের কপি হাতে পাওয়ার আগেই প্রতিক্রিয়া দিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের এ প্রতিক্রিয়া মনে হয় আগে থেকেই প্রস্তুত করা ছিল।’
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বাজেটের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষা এবং প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কারণ উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের কোনো বিকল্প নেই। সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের আওতা বাড়ানো হয়েছে। এসব দিক সমালোচকদের চোখে পড়ে না।

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ৮৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিল। এখন তা ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। বাজেটের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন হয়েছে। এবারের ঘোষিত বাজেটে শুধু উন্নয়ন বাজেটই ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এ সাফল্য সমালোচকেরা দেখতে পাচ্ছেন না।

বাজেটের সমালোচনাকারী অর্থনীতিবিদদের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, কিছু কিছু ডিগ্রিধারী আছেন, যাঁরা বাজেট ঘোষণার পর সমালোচনা করাকে নিয়মে পরিণত করেছেন। আসলে সমালোচনার জন্য তাঁরা বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা থেকে বাজেট পান। সমালোচনা না করলে তা বন্ধ হয়ে যাবে। এ জন্য তাঁদের সমালোচনা করতেই হয়। কিন্তু তাঁরা যে বিশেষ কারণে অজ্ঞ-বিশেষজ্ঞ, এটি জনগণের কাছে এখন ধরা পড়ে গেছে।

ভোটার তুষ্টির বাজেট—বিএনপির এমন সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। বাজেট তো জনগণের স্বার্থেই। সুতরাং সরকার জনগণের সন্তুষ্টির বাজেট না করে কি যারা টেলিভিশনে রাতের বেলায় গলা ফাটায়, তাদের তুষ্ট করার বাজেট করবে? নাকি বিএনপিকে তুষ্ট করার বাজেট করবে? সরকার জনগণকে তুষ্ট করারই বাজেট দিয়েছে।’

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, চিত্রনায়িকা ফারহানা আমিন, আয়োজক সংগঠনের নেতা মোবারক আলী, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।