আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে রোহিঙ্গা নিয়ে অভিমত জমা দিয়েছে বাংলাদেশ

কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক রোহিঙ্গা। (প্রথম আলোর ফাইল ছবি)
কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক রোহিঙ্গা। (প্রথম আলোর ফাইল ছবি)

রোহিঙ্গাদের জোর করে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরুর বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) সোমবার অভিমত জমা দিয়েছে বাংলাদেশ।

নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রেজিস্ট্রার পিটার লুইসের কাছে এই অভিমত জমা দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মাদ বেলাল। সূত্রটি জানিয়েছে, সোমবার বাংলাদেশ আইসিসিতে শুধু অভিমত দিয়েছে। আদালত তথ্য-উপাত্ত চাইলে পরবর্তী সময়ে তা দেবে বাংলাদেশ।

আইসিসির প্রাক-বিচারিক শুনানির অনুরোধে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ ১১ জুনের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অভিমত জমা দিল। আগামী ২০ জুন আইসিসির প্রাক–বিচারিক আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে। রুদ্ধদ্বার ওই শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি ফাতাও বেনসুদা।

গত ৯ এপ্রিল আদালতে রোম সনদের প্রসঙ্গ টেনে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে তদন্তের জন্য আবেদন করা হয়। ১১ এপ্রিল প্রাক–শুনানি আদালতের সভাপতি তিন সদস্যের আদালতকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেন। কারণ, ফাতাও বেনসুদা তদন্তের আবেদন জানালেও এ নিয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে। বাংলাদেশ রোম সনদে সই করলেও মিয়ানমার এখনো তা করেনি। ফলে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি তদন্তের এখতিয়ার আইসিসির আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

এদিকে গত ৭ মে আইসিসির প্রাক-বিচারিক শুনানিতে তিন সদস্যের আদালত বাংলাদেশের কাছে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়। আদালত ১১ জুনের মধ্যে প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে এ বিষয়ে বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষণ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

এ পর্যন্ত অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে মোহাম্মদ হাদি জাকের হোসেইন ও ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্টস তাঁদের অভিমত দিয়েছেন। এ ছাড়া ৪০০ জন রোহিঙ্গার পক্ষে একটি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা গ্লোবাল রাইটস কমপ্লায়েন্সও অভিমত দিয়েছে।

 মিয়ানমার যাচ্ছেন ক্রিস্টিন শ্রেনার 

জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্জেনার মঙ্গলবার মিয়ানমার যাচ্ছেন। গত এপ্রিলে নতুন ওই দায়িত্ব পাওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম মিয়ানমার সফর। মিয়ানমার সফর শেষে তাঁর বাংলাদেশে সফরের পরিকল্পনা রয়েছে।