সিএনজির ধাক্কায় পুলিশ কনস্টেবল আশরাফুল চিকিৎসাধীন, এক দিনের মাথায় চালকের জামিন

আহত অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবল আশরাফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
আহত অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবল আশরাফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ কনস্টেবল আশরাফুল আলম গত সোমবার সকালে রাজধানীর নীলক্ষেত থেকে গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন শাহবাগ মোড়ে। গাড়ি থেকে নামামাত্র টিএসসি থেকে আসা সিএনজি ধাক্কা দিলে আশরাফ গুরুতর জখম হন। এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন।

এ ঘটনায় গতকাল বুধবার সিএনজিচালক নুরু মিয়াকে (২২) গ্রেপ্তার করে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠায়। চালক নুরু মিয়াকে জামিন না দেওয়ার জন্য পুলিশ আদালতের কাছে আবেদন করে। আদালত অবশ্য ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় চালক নুরুকে জামিন দিয়েছেন।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, কনস্টেবল আশরাফুল গুরুতর আহত হন। সিএনজি চালকের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পান। আশরাফুল এখন ঢাকা মেডিকেলের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন।

মামলায় বলা হয়, কনস্টেবল চালক আশরাফুল আলম নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। ১১ জুন সকালে নীলক্ষেত থেকে গাড়ি চালিয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আসেন তিনি। বেলা ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে টিএসসির মোড় থেকে আসা একটি সিএনজি সজোরে ধাক্কা দেয়। মাথার পেছনে আঘাত পান আশরাফুল। এ ঘটনায় বাদী হয়ে গতকাল বুধবার মামলা করেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার বাদী শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ ইমরুল সাহেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সিএনজি ধাক্কা দেওয়ার পর আহত আশরাফকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আর চালক তখন সিএনজি রেখে পালিয়ে যান।

চালক নুরুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে বলছে, কনস্টেবল আশরাফুল মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন। চালককে জামিন দিলে চিরদিনের মতো পলাতক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে চালকের জামিনের ঘোর বিরোধিতা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, কনস্টেবল আশরাফুলের অবস্থা ভালো না। তদন্ত শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব আদালতে প্রতিবেদন দেবেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা শাহ আলম।