জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) যুব নেতাকে ব্রাশফায়ারে হত্যা

রাঙামাটি
রাঙামাটি

আবার রক্তাক্ত হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় আজ রোববার সন্ধ্যায় আঞ্চলিক দল জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) এক নেতাকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত সুরেন বিকাশ চাকমা (৪৫) বাঘাইছড়ির উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের দোখাইয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রূপকারী ইউনিয়নে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) যুব সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) নেতারা প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিজের বাসার সামনে সুরেন চাকমাকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়। হামলাকারীরা ছিল সাত থেকে আটজন। সবার হাতে অস্ত্র ছিল।

বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন বলেন, তাঁরা আঞ্চলিক দলের এক নেতার ওপর হামলার কথা শুনেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
পার্বত্য অঞ্চল বেশ কিছুদিন থেকেই অশান্ত। গত শুক্রবার রাঙামাটির লংগদু উপজেলার লংগদু ইউনিয়নের দোজরপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন আঞ্চলিক দল জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কর্মী রঞ্জন চাকমা।
গত ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদে নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন নানিয়ারচরের উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা। তিনি জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। পরদিন শুক্রবার শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীদের হামলায় পাঁচজন নিহত হন। নিহত লোকজনের মধ্যে ছিলেন ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক দলের আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা। অন্য চারজন হলেন সুজন চাকমা, প্রণব চাকমা, সেতু চাকমা ও তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক মো. সজীব।
এরপর খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় ইউপিডিএফের এক কর্মী এবং পরে ২৮ মে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে করল্যাছড়ি গ্রামে ইউপিডিএফের তিন কর্মী খুন হন।