২৩ জুনের মধ্যে সিদ্ধান্ত না হলে কঠোর আন্দোলন

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন। ছবি: প্রথম আলো
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন। ছবি: প্রথম আলো

২৩ জুনের মধ্যে এমপিওভুক্তির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা অনশনসহ কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অবস্থান কর্মসূচির নবম দিনে তাঁরা এ কথা বলেন।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ সোমবার সকালে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের উল্টো দিকের সড়কে তাঁরা অবস্থান নেন। ১০ জুন থেকে টানা নবম দিনের মতো আন্দোলন করছেন।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী বলেন, ‘২৩ তারিখ পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ। এর মধ্যে যদি সরকার কোনো সিদ্ধান্তে না আসে, তাহলে আমরা বাধ্য হব অনশনসহ কঠিন কোনো কর্মসূচিতে যেতে।’ রোজা ও ঈদের সময়টাতে তাঁরা আধাবেলা কর্মসূচি দিলেও আজ থেকে লাগাতার অবস্থান নেবেন।

এর আগে একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচিতে নামে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অনশন করার পর প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে তাঁরা অনশন ভঙ্গ করে ফিরে যান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা তখন তাঁদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন।

সারা দেশে বর্তমানে সাড়ে সাত হাজার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ২৪২টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাকে।

এবারের ২০১৮-১৯ বাজেটে এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু না থাকায় শিক্ষকেরা আবার আন্দোলনে নামেন। এরপর ১১ জুন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে। বাজেটে উল্লেখ না থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেটা ফয়সালা করে এমপিওভুক্ত করা হবে।

তবে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা বলছেন, শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে একাধিকবার আশার কথা শুনেছেন। কিন্তু তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এখন মন্ত্রীর কোনো কথায় তাঁরা আশ্বস্ত নন। খুলনা থেকে আসা শিক্ষক গাজী মজিবর রহমান বলেন, ‘উনি বারবার আশা দেন। কিন্তু এখন আর ওনার ওপর ভরসা রাখতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার বাস্তবায়ন চাই।’

সংগঠনটির সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী অন্তত ২৭ বার আমাদের আশা দিয়েছেন। এখন আর ওনার কথায় আশ্বস্ত হতে পারছি না। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ঘোষণা চাই।’

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১২ জুন এমপিও নীতিমালা ২০১৮ ঘোষণা দেয়। এ নীতিমালা নিয়েও আন্দোলনরত শিক্ষকেরা আপত্তি জানিয়েছেন। বিভাষ চন্দ্র নামের একজন শিক্ষক বলেন, যে নীতিমালা, সেটার বাস্তবায়ন করতে গেলে ৫০০ স্কুলও এমপিওভুক্ত হবে না।