ভাঙচুরের মামলা যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দিন তিন দিনের রিমান্ডে

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন ওরফে টুকুকে শাহবাগ থানার একটি মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট প্রণব কুমার হুই এ আদেশ দেন।

১২ জুন এ মামলায় সুলতান সালাউদ্দিনকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। কিন্তু মামলার মূল নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে থাকায় ওই দিন রিমান্ড ও জামিন বিষয়ে শুনানি হয়নি। আজ বুধবার আসামির উপস্থিতি ও নথিপ্রাপ্তি সাপেক্ষ শুনানির দিন ধার্য ছিল।

রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ৬ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে মানববন্ধন শেষে মিছিল হয়। পুলিশ এতে বাধা দিলে আসামি ও তাঁর লোকজন রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন এবং গাড়ি ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করেন। ওই ঘটনায় আর কারা জড়িত আছে, তা জানতে তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় সুলতান সালাউদ্দিনকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১১ জুন রাত পৌনে একটার দিকে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে সুলতান সালাউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যান সাদাপোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরে পুলিশের কাজে বাধা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়ে। ১২ জুন আদালতে হাজির করে তাঁকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত যুবদলের কেন্দ্রীয় এই নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে ২০ জুন রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
মামলার তথ্য বলছে, জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় গত ৬ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। শাহবাগ থানার মামলায় পুলিশ বলছে, মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব এলাকায় বিনা উসকানিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তর্কে লিপ্ত হন। রাস্তায় মিছিল বের না করার জন্য পুলিশ নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করে। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে রাস্তায় মিছিল নিয়ে যেতে থাকেন নেতারা। পুলিশ ফের মিছিল নিয়ে রাস্তায় না যাওয়ার অনুরোধ করে। তখন পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করে হত্যার চেষ্টা চালায়। দফায় দফায় ইটপাটকেল ছোড়ে। সচিবালয়ের একটি ভবনের গ্লাস ভেঙে ফেলে। চার লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন আসামিরা।
মামলাটি তদন্ত করছেন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খান। আসামিপক্ষে শুনানি করেন মো. সগির হোসেন।