বাংলাদেশের পাসপোর্টে যুক্তরাজ্যে নেপালি নারী

পাসপোর্ট। প্রতীকী ছবি
পাসপোর্ট। প্রতীকী ছবি

হেলেন সিং সেরেস্তা নামের এক নেপালি নাগরিক বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে গেছেন। তিনি নেপালি নাগরিক হয়েও কীভাবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেলেন, তা তদন্ত করতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হেলেন সিং সেরেস্তা নামের এক নারীকে বিয়ে করেন ব্রিটিশ নাগরিক ড্রেক কেনটন। ওই নারী নিজেকে বাংলাদেশি বলে পরিচয় দিলেও বিয়ের পর তাঁর কাছে নেপালি পাসপোর্ট দেখতে পান। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, হেলেন সিং একজন নেপালি নাগরিক, কিন্তু নিজের নামে বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করেছেন।

ড্রেক কেনটন আরও জানতে পারেন, হেলেন সিং একজন প্রতারক। হেলেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে যান এবং ড্রেক কেনটনকে তালাক দেন। আবদুল্লাহ আলম নামের এক ব্যক্তি তাঁকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিতে সহায়তা করেছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে দেওয়া এক চিঠিতে বলেছে, একজন নেপালি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করে বাংলাদেশি নাগরিক পরিচয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। এ ব্যাপারে হেলেনের সব দলিল যাচাই-বাছাই করতে হবে।

কী উদ্দেশ্য হেলেন সিং সেরেস্তা এসব করেছেন, তা জানতে বলা হয়েছে অধিদপ্তরকে। তাঁকে আবদুল্লাহ নামের যে কর্মকর্তা পাসপোর্ট পেতে সহায়তা করেছেন, তাঁকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ছাড়া হেলেন সিং সেরেস্তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

ড্রেক কেনটন এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য হাইকমিশনে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ওই নারীর নাম মূলত হেলেন দেবী। পাসপোর্টে তিনি লিখেছেন হেলেন সিং। তিনি তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাঁর টাকাপয়সা আত্মসাৎ করেছেন। হেলেনের বাংলাদেশি পাসপোর্ট নম্বর এজি ৩৫৬০১২৩১। ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর ঢাকা থেকে তিনি এ পাসপোর্ট পান।

জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট গ্রহণের বিষয়টি উদ্বেগজনক। এ ব্যাপারে অধিদপ্তরকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া এই নারী আসলে কেন নেপালি হয়েও বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন, তা আমাদের জানতে হবে। তিনি যুক্তরাজ্যে কীভাবে গেলেন, তা-ও ভেবে দেখার বিষয়।’