চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা জারি

>
  • শনিবার রাত থেকেই নগরে বৃষ্টি শুরু হয়
  • গতকাল বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত ছিল
  • সতর্কবার্তা জারির পর নতুন করে উচ্ছেদ অভিযান হয়নি

মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণ এবং পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের কর্তব্যরত আবহাওয়াবিদ নুর মোহাম্মদ গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সিলেটের পাহাড়গুলোতেও ধসের আশঙ্কা আছে বলে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।

শনিবার রাত থেকেই নগরে বৃষ্টি শুরু হয়। গতকাল বিকেল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৪৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

তবে সতর্কবার্তা জারি হওয়ার পর গতকাল চট্টগ্রামে নতুন করে উচ্ছেদ অভিযান হয়নি। তবে বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো হয় বলে প্রশাসন জানিয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে প্রশাসন কয়েকটি পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল। বৃষ্টির অবস্থা দেখে আজ সোমবার নতুন করে অভিযান চালানো হতে পারে।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাসিন্দাদের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু বাসিন্দারা এসব কানে তুলতে চায় না।

গতকাল দুপুরে নগরের বাটালি হিলে দেখা যায়, পাহাড়ের বসতিতে লাল পতাকা এবং সাইনবোর্ড টাঙিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। রফিক নামে একজন বলেন, এখানে কখনো পাহাড়ধস হয়নি। তাই এবারও কিছু হবে না।

একইভাবে নগরের মতিঝরনা এলাকায় দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যে হাজার হাজার লোক ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে এবং খাঁজে বসবাস করছে। তাদের এক কথা, এখানে কখনো পাহাড়ধস হবে না।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাস করছে। নগরের পাশাপাশি চন্দনাইশ, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড ফটিকছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলায়ও পাহাড়ের ঝুঁকিতে লোকজন বসবাস করছে। কিন্তু তাদের সরাতে প্রশাসনের সে রকম উদ্যোগ নেই।

চট্টগ্রামের পাশাপাশি কক্সবাজারে প্রায় ২ লাখ, রাঙামাটিতে ৫০ হাজার এবং খাগড়াছড়িতে প্রায় ২৫ হাজার লোক ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাস করছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। ১২ জুন রাঙামাটির নানিয়ারচরে পাহাড়ধসে ১১ জন মারা যায়।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, আবহাওয়া খারাপ হলে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি নিয়ে চিন্তা বেড়ে যায়। কিন্তু বাসিন্দাদের এ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।