গাজীপুরের নির্বাচন বাতিল করে ফের নির্বাচন দাবি বিএনপির

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন বাতিল চেয়ে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার সকালে ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) মিলে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তামাশা করেছে। সরকার নতুন নতুন রূপে ভোট ডাকাতির ফর্মুলা আবিষ্কার করছে, যাতে ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে পারে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল আজ সকালে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আজীবন ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। তারা নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। বারবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষে রায় ছিনিয়ে নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। গাজীপুরের নির্বাচনের মাধ্যমে তারা আবার সেটি প্রমাণ করেছে।

ফখরুল ইসলাম বলেন, এ অবস্থার মধ্যেও সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনেও বিএনপি অংশ নেবে। এটি বিএনপির চলমান আন্দোলনের অংশ, যার মাধ্যমে জনগণের সামনে বর্তমান গণবিরোধী সরকারের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। এর মাধ্যমে জনগণের সামনে সরকার ও ইসির চরিত্র বের হয়ে আসবে।

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ইসিকে বলব, আপনাদের সঠিক সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করুন। একই সঙ্গে জনগণকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ এবং পুনর্গঠন চায়। কারণ, ইসি তাদের দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। তাই নতুন করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, জনগণের রায় পক্ষে নিতে সরকার প্রচারমাধ্যমকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এমনকি অনেক গণমাধ্যমের মালিককে ডেকে নিয়ে ধমক দেওয়া হয়েছে, যাতে নির্বাচনের সংবাদ প্রচার না করে। কারণ, আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি যেন জনগণ জানতে না পারে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আযম খান, শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।