পূবালী ব্যাংক থেকে ৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ঋণগ্রহীতা উধাও!

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

শাহেব উদ্দিন আহমেদ শিহান নামের একজন ঋণগ্রহীতা ব্যাংক থেকে আট কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পর উধাও হয়ে গেছেন। টাঙ্গাইলের পূবালী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে তাঁর দুটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে এ ঋণ নেন তিনি। ঋণের বিপরীতে যথোপযুক্ত পরিমাণ সম্পত্তি বন্ধক না রেখেই ব্যাংক শাহেব উদ্দিন আহমেদ শিহানকে এ ঋণ দিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ঋণ দেওয়ার পর থেকেই শাহেব উদ্দিন শিহানকে তাঁর বাসা, অফিস বা টাঙ্গাইলের কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না ব্যাংক কর্মকর্তারা। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। ব্যাংকের অনুরোধ, এই ঋণগ্রহীতার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। কেননা তাদের কাছে তথ্য রয়েছে তিনি যেকোনো সময় দেশ ছাড়তে পারেন।

টাঙ্গাইলের পূবালী ব্যাংকের প্রধান শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার সাদিকুল ইসলাম গত ৩১ মে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে জানিয়েছেন, পূবালী ব্যাংকের টাঙ্গাইল প্রধান শাখার ঋণগ্রহীতা শাহেব উদ্দিন শিহান তাঁর দুই প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস এম টেলিকম এবং এ এস এ এন্টারপ্রাইজের নামে দুটি ঋণ নেন। বর্তমানে দুটি হিসাবই ঋণখেলাপি। ব্যাংক থেকে তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে ও চিঠি দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি টাকা পরিশোধে এগিয়ে আসছেন না। দুইবার পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তিনি অজ্ঞাত স্থান থেকে রিট করে এই নিলাম কার্যক্রম স্থগিত করেন। বর্তমানে তিনি পলাতক। তাঁকে টাঙ্গাইলে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, বাসাতেও বারবার খোঁজ নেওয়া হয়েছে, লোকজন নেই। তাঁর ঠিকানাগুলোতেও চিঠি দিলে ফেরত আসে।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ না করে যেকোনো সময় দেশ ছেড়ে পালাবেন। তাঁর নামে টাঙ্গাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। শাহেব উদ্দিন শিহান নামের এই ঋণখেলাপি যদি পালিয়ে যান, তবে তাঁর কাছ থেকে ঋণ আদায়ে জটিলতা হবে এবং ব্যাংক চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

শাহেব উদ্দিন শিহানের বাবার নাম শরীফ উদ্দীন আহমেদ। পূর্ব আদালতপাড়া, টাঙ্গাইলে তিনি বসবাস করেন। এই ঋণগ্রহীতা অল্প কিছু ভূমি বন্ধক রেখে উল্লিখিত ঋণ নিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আজকাল এমন অভিযোগ খুব বেশি আসছে। ব্যাংকগুলো যথোপযুক্ত পরিমাণ সম্পত্তি বন্ধক না রেখে ঋণ দিচ্ছে। আমরা দু-এক দিনের মধ্যেই এই ব্যক্তির দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করব।

জানতে চাইলে টাঙ্গাইলের পূবালী ব্যাংকের প্রধান শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তাঁকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না।’ তিনি বলেন, ‘যখন ওই ঋণগ্রহীতা ঋণ নিয়েছিল তখন তো সেই সম্পদের বাজারমূল্য ছিল। এখন নিলামে দিলে তা আসে না। আবার ওই ব্যক্তিকেও পাচ্ছি না।’