আ.লীগের নবীন বনাম বিএনপির অভিজ্ঞ

>
  • বরিশাল সিটি নির্বাচন
  • ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আ.লীগ ১৪ জন নতুন মুখকে সমর্থন দিয়েছে।
  • বিএনপি আগের নির্বাচিত ১৯ জনের ওপর ভরসা রাখছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে ১৪ জনই আগে নির্বাচন করেননি। অন্যদিকে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপি অভিজ্ঞ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এবার আওয়ামী লীগের নবীন প্রার্থীদের প্রতিপক্ষ হচ্ছেন বিএনপির অভিজ্ঞরা।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহও তরুণ। তিনিও আগে নির্বাচন করেননি। অন্যদিকে বিএনপি মেয়র পদে সাবেক মেয়র ও সাংসদ মজিবর রহমান সরোয়ারকে প্রার্থী করেছে।
আওয়ামী লীগ ২৫ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের ২৮টিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। ২০ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমানে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত দুজন কাউন্সিলর থাকলেও কৌশলগত কারণে এ দুটি ওয়ার্ডে কোনো প্রার্থীকে দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে বিএনপি এখনো দলীয়ভাবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি। তবে দলটি পুরোনো কাউন্সিলরদের ওপরই ভরসা রাখছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাউন্সিলর পদে এখনো আমরা মনোনয়ন চূড়ান্ত করিনি। আলাপ-আলোচনা চলছে। তবে গতকাল শেষ দিনে সবাই যে যাঁর মতো মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বর্তমানে যাঁরা দলীয় কাউন্সিলর আছেন, তাঁরা দলীয় সমর্থন পাবেন এটা অনেকটা নিশ্চিত।’
২০১৩ সালের ১৫ জুনের বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিএনপির ১৯, আওয়ামী লীগের ৫, জামায়াতের ১, জাতীয় পার্টির ২ ও স্বতন্ত্র ৩ জন প্রার্থী জয়ী হন। আগামী ৩০ জুলাই এবার সিটি নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, নগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে পরপর তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর বিএনপির জাকির হোসেন। এখানে আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন খানকে। লিয়াকত এর আগে কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে নগর যুবলীগের সদস্য শেখ সাঈদ আহমেদকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই ওয়ার্ডে সাঈদ আহমেদের প্রতিদ্বন্দ্বী নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরপর তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর আলতাফ মাহামুদ সিকদার। ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পরপর তিনবার জয়ী হন নগর জাতীয় পার্টির সভাপতি এ কে এম মুরতজা আবেদীন। এখানে মুরতজার সঙ্গে ভোটযুদ্ধে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন পেয়েছেন নিখোঁজ যুবলীগ নেতা মোনায়েমের ভাই মো. আহসান উল্লাহ। একইভাবে ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও পরপর তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সেলিম হাওলাদারের বিপক্ষে প্রার্থী করা হয়েছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত দত্তকে। তিনিও এর আগে সিটি নির্বাচনে অংশ নেননি। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিকবার নির্বাচিত বিএনপির কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানের বিপরীতে দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের আকতারুজ্জামানকে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিকবার নির্বাচিত বিএনপির কাউন্সিলর সৈয়দ আকবরের বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিকবার নির্বাচিত বিএনপির কাউন্সিলর মীর জাহিদের বিপরীতে সমর্থন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের মো. কামরুজ্জামানকে। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিকবার নির্বাচিত কাউন্সিলর নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদারের বিপরীতে আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছে এম সাইদুর রহমানকে।