দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না: মওদুদ

মওদুদ আহমদ। ফাইল ছবি
মওদুদ আহমদ। ফাইল ছবি

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে সরকারের জন্য পরীক্ষা। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, জনগণকে সেটা বোঝাতেই বিএনপি বাকি সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোয় অংশ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শনিবার দুপুরে ‘জাতীয় নাগরিক অধিকার মঞ্চ’ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় মওদুদ আহমদ এ মন্তব্য করেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, বাকি সিটি করপোরেশন নির্বাচন সরকারের জন্য পরীক্ষা। বাকি তিন সিটি নির্বাচনেও যদি গাজীপুর ও খুলনার পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে বিএনপি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাববে।

মওদুদ আহমদ আরও বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, সেটা জনগণকে বোঝানোর জন্য বিএনপি বাকি সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোয় অংশ নেবে। তিনি বলেন, বিএনপির প্রথম এজেন্ডা হলো, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। সরকার চেষ্টা করবে তাঁকে বেশি দিন কারাগারে রাখতে। কারণ, সরকার তাঁকে ভয় পায়। তিনি অবশ্যই মুক্তি পাবেন এবং যেদিন তিনি মুক্তি পাবেন, সেদিন নতুন জোয়ার সৃষ্টি হবে।

জাতীয় ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া চলছে দাবি করে মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের বাইরের সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় ঐক্য হবে সরকার পতনের মূল কারণ। এই ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া চলছে। ঐক্য গড়ে তোলার পর উপযুক্ত সময়ে কর্মসূচি দেওয়া হবে। এমন কর্মসূচি দেওয়া হবে যাতে সরকার পরিবর্তন হয়।

সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ বলেন, ১৯৭৫ সালের আওয়ামী লীগ আর বর্তমান আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আওয়ামী লীগ তখন বাকশাল কায়েম করেছিল; যদিও সেটা লিখিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে অলিখিতভাবে প্রতারণা ও প্রবঞ্চনার মধ্য দিয়ে সরকার দেশ চালাচ্ছে। এই যে কলঙ্ক আওয়ামী লীগ লেপন করল, এ থেকে তাঁরা কোনোদিনই মুক্ত হতে পারবে না।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মওদুদ আহমদ আরও বলেন, সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের তখন আর বদ্ধ ঘরে থাকতে হবে না। তখন তাঁরা রাজপথে থাকবেন। কারণ, কোনো স্বৈরাচার সরকারের পতন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে হয় না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।