অন্য রকম হোলি আর্টিজান

ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার দুই বছর। হোলি আর্টিজানের আগের ভবনে ফুল দিয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন ইতালির নাগরিক নাদিয়া বেনেদিত্তি। গুলশান-২, ঢাকা, ১ জুলাই। ছবি: আবদুস সালাম
ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার দুই বছর। হোলি আর্টিজানের আগের ভবনে ফুল দিয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন ইতালির নাগরিক নাদিয়া বেনেদিত্তি। গুলশান-২, ঢাকা, ১ জুলাই। ছবি: আবদুস সালাম

গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়ি। আজ এ বাড়িটির আবহ অন্য দিনের তুলনায় একেবারে আলাদা। ২০১৬ সালের ১ জুলাইয়ের পর থেকে বাড়িটি বন্ধ থেকেছে। গত বছর এই দিনে কয়েক ঘণ্টার জন্য খোলা হয়েছিল। আজ রোববার আবারও খোলা হয়েছিল চার ঘণ্টার জন্য।

অন্যান্য দিন ওই সড়কের প্রবেশমুখে থাকেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরাই নিয়ন্ত্রণ করেন মানুষ ও যানচলাচল। আজ নিরাপত্তা আরও জোরদার ছিল সেখানে। শুধু সেখানেই নয়, আশপাশের সড়কেও।
এত সব নিরাপত্তার ভেতরেই বাড়ির আঙিনায় প্রবেশ করেছেন মানুষ। সেখানে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। কেউ কেউ মোমবাতি জালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
দুই বছর আগে এ বাড়িতে ঘটে গেছে বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। জঙ্গি হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দেশি-বিদেশি ২০ জন। নিহত ২০ জনের মধ্যে নয়জন ইতালির নাগরিক, সাতজন জাপানের ও একজন ভারতের। বাকি তিনজন বাংলাদেশি। হোলি আর্টিজান বেকারিতে ওই হামলার পর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বেকারিটি। মালিক সাদাত মেহেদী বাড়িটিকে ব্যবহার করছেন বাসভবন হিসেবে।

হোলি আর্টিজানের কর্মচারী জাকির হোসেন ওই রাতে পালাতে গিয়ে আহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান। আজ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তাঁর মা মাকসুদা বেগম। গুলশান ২, ঢাকা, ১ জুলাই। ছবি: আবদুস সালাম
হোলি আর্টিজানের কর্মচারী জাকির হোসেন ওই রাতে পালাতে গিয়ে আহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান। আজ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তাঁর মা মাকসুদা বেগম। গুলশান ২, ঢাকা, ১ জুলাই। ছবি: আবদুস সালাম

আজ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বাড়ির লনে তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী বেদি। সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা থাকলেও এর আগেই কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থা। পরে পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সোয়া ১০টার দিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মর্মান্তিক ও নৃশংস এ ঘটনার তদন্তে সরকার বসে নেই। পুলিশ কমিশনার আমাকে জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বৈশ্বিক একটি সমস্যা। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তারা অনেকটাই নিস্তেজ হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তারা নির্মূল হয়েছে এটা বলব না, তবে তারা দুর্বল হয়েছে। আমরা নিরাপদ আছি।’
এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এঁদের মধ্যে অন্যতম বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী, জাপান সরকারের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক সংস্থা জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) এ দেশীয় ব্যবস্থাপক ডেকোচি আরাই প্রমুখ।

নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ অন্যান্যরা। গুলশান ২, ঢাকা, ১ জুলাই। ছবি: আবদুস সালাম
নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ অন্যান্যরা। গুলশান ২, ঢাকা, ১ জুলাই। ছবি: আবদুস সালাম

বেলা সোয়া একটায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী দলের গুলশান থানা শাখার কয়েকজন নেতাকে নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এখন পর্যন্ত অভিযোগপত্র না দেওয়া এবং বিচার শুরু না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, দ্রুত এ মামলায় অভিযোগপত্র দিয়ে বিচার শুরু হোক।’
র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও দমন দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া। আমরা প্রতিনিয়তই কাজ করছি, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সর্বশেষ জঙ্গি দমন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

ভিনদেশির জন্য শ্রদ্ধা
জঙ্গিদের হাতে নিহত নয় ইতালীয় নাগরিকের একজন নাদিয়া বেনেদিত্তে। প্রায় ২৫ বছর ব্যবসা করেছেন এই নারী। ভেলমন্ট সোয়েটার, ভেলমন্ট ফ্যাশন ও স্টুডিওটেক্স নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ভেলমন্ট সোয়েটারে নাদিয়ার ব্যবসায়িক অংশীদার বিপুল কুমার সমাদ্দারসহ কয়েকজন এসেছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে। তাঁদের ফুলের তোড়ায় নাদিয়ার হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি সাঁটানো। বিপুল বলেন, ‘নাদিয়ার জন্যই আমি আজ ব্যবসায়ী, একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। তাঁকে কোনোভাবেই ভুলতে পারছি না।’
বিপুল জানালেন, নাদিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিতে এখন নাদিয়ার জায়গায় কাজ করছেন তাঁর ভাই পাওলো বেনেদিত্তে। প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো চলছে বলে জানালেন তিনি।
নাদিয়ার সঙ্গে কাজ করেছেন আনিসুজ্জামান নামের আরেকজন। তিনি এখন অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করলেও নাদিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে ময়মনসিংহের কাছাকাছি মাওনা এলাকা থেকে চলে এসেছেন হোলি আর্টিজানে। আনিস বললেন, ‘নাদিয়া ছিলেন খুব মানবিক। তাঁকে কোনোভাবেই মনের আড়াল করতে পারছি না।’

শাওনের মায়ের কান্না
বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে হোলি আর্টিজান চত্বরে উপস্থিত সবার চোখ ভিজে ওঠে জাকির হোসেন শাওনের মায়ের কান্নায়। ছেলের একটি ছবি বুকে জড়িয়ে আরেক ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গুলশানে আসেন তিনি।
রেস্তোরাঁর কর্মী জাকির হোসেন সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ৭ জুলাই হাসপাতালে মারা যান। ১ জুলাই ঘটনার রাতেই হোলি আর্টিজানের পাশের জলাশয় থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় জাকিরকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জাকিরকে সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করে বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন। ৪ জুলাই পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক জানান, হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তিনি কারও নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি।

সেদিনের জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন দুই তরুণী। গুলশান ২, ঢাকা, ১ জুলাই। ছবি: আবদুস সালাম
সেদিনের জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন দুই তরুণী। গুলশান ২, ঢাকা, ১ জুলাই। ছবি: আবদুস সালাম

ওই দিনই (৪ জুলাই) জাকিরের বাবা আবদুস সাত্তার ও মা মাহমুদা বেগম ছেলেকে খুঁজতে আর্টিজানের সামনে ছবি নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা বলেন, হামলার পর থেকে জাকিরকে তাঁরা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাঁর (জাকিরের) খোঁজে অভিভাবকেরা কয়েকবার গুলশান থানার পুলিশের কাছে গেছেন। পুলিশ ইউনাইটেড হাসপাতালে জাকিরকে খোঁজার কথা বলে। সেখানে গিয়েও তাঁরা ছেলেকে পাননি। মা-বাবার কাছে থাকা জাকিরের ছবি দেখে ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকেরা ঘটনার রাতে তোলা রক্তাক্ত অবস্থায় জাকিরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে নিয়ে যাওয়ার ছবিটি দেখান। এরপর ওই দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছেলেকে খুঁজে পান তাঁরা।
হোলি আর্টিজানের ঘটনায় যে ২১ জনের সম্পৃক্ততার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে জাকির হোসেনের নাম নেই। পুলিশ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
আজ হোলি আর্টিজানে মাসুদা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ছেলে বেঁচে থাকলে আমাকে মানবেতর অবস্থায় পড়তে হতো না। অসুস্থ স্বামী, দুই ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপনের কথা জানালেন তিনি। বললেন, ‘আমি গরিব। তাই কেউ খোঁজখবর নেয় না।’

সালাউদ্দিনের পরিবার সতর্ক
হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত বনানী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন খানের ভাই রাজি উদ্দিন খান এসেছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে। জানালেন তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তাঁদের পরিবার সতর্ক। তিনি বলেন, কিছুটা নিরাপত্তাঝুঁকি থাকতেই পারে। তিনি জানান, সালাউদ্দিনের মেয়ে (১৬) ও ছেলে (৮) দুজনই পড়াশোনা করছে। এখনো বাবার কথা স্মরণ করে তারা ভেঙে পড়ে। তিনি বলেন, পরিবারের সবাই এ জন্য গর্ববোধ করে যে সালাউদ্দিন জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে জীবন দিয়েছেন।
হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই সময় তিনি ঢাকায় ছিলেন। হামলার ঘটনার কিছু আগে বনানী থানায় সালাউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয়েছিল। ‘থানায় গিয়ে দেখি চা নিয়ে বসে আছে। আর একটি কাগজ খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছে। আমাকে বলল, “ভাইজান, আপনি নামাজ পড়ে আসেন, আপনাকে নিয়ে বাইরে যাব।” এই ছিল তার সঙ্গে শেষ কথা। এর কিছু সময় পরে শুনি সে আর নেই।’

ফিরে দেখা ১ জুলাই ২০১৬
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারি ও কিচেন রেস্তোরাঁয় জঙ্গিরা অতর্কিতে হামলা চালায়। জঙ্গিরা সেদিন ২০ জনকে হত্যা করে। নিহত ২০ জনের মধ্যে নয়জন ইতালির নাগরিক, সাতজন জাপানের ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি। তাঁরা হলেন ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেন, ঢাকার ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান ক্রিয়েটিভসের সাবেক পরিচালক ইশরাত আখন্দ এবং ল্যাভেন্ডার গ্রুপের মালিক মনজুর মোরশেদের নাতনি অবিন্তা কবীর। ওই রাতে সেখানে অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের বোমায় নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা রবিউল করিম ও সালাউদ্দিন খান। আহত হন র‍্যাব-১-এর তৎকালীন পরিচালক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ ও পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মারুফ হাসানসহ পুলিশের ৩১ সদস্য।

হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মৃতিতে তৈরি করা হয়েছে দীপ্ত শপথ শিরোনামের এই ভাস্কর্যটি।  আজাদ মসজিদ এলাকা, গুলশান, ঢাকা, ১ জুলাই। ছবি: আবদুস সালাম
হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মৃতিতে তৈরি করা হয়েছে দীপ্ত শপথ শিরোনামের এই ভাস্কর্যটি। আজাদ মসজিদ এলাকা, গুলশান, ঢাকা, ১ জুলাই। ছবি: আবদুস সালাম

এ হামলা ও জিম্মি সংকট চলাকালে এর দায় স্বীকার করে সিরিয়া-ইরাকভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস (ইসলামিক স্টেট)। এমনকি জিম্মি সংকট চলাকালে হত্যাযজ্ঞের ছবি আইএসের নিজস্ব অনলাইন আমাক নিউজে প্রকাশ করা হয়। অবশ্য বাংলাদেশ সরকার আগের বিভিন্ন ঘটনার মতো এ ঘটনায়ও আইএসের দাবি নাকচ করে দেয়।
শ্বাসরুদ্ধকর এ হামলা ও জিম্মি পরিস্থিতির অবসান হয় পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে। ঘটনার তিন দিনের মাথায় গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। মামলায় বলা হয়, অভিযানে জিম্মিদশা থেকে ৩২ জনকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে জিম্মি উদ্ধার অভিযানের আগে ১৯ জন এবং পরে ১৩ জন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া লোকজনের মধ্যে দুজন করে ইতালি ও শ্রীলঙ্কার, একজন জাপানি এবং অন্যরা রেস্তোরাঁর এ দেশীয় কর্মী ও অতিথি।