ভোলায় অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর গ্রামের পণ্ডিত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি।

আহত ছাত্রীর নাম আয়েশা আক্তার (১৪)। বাবার নাম মো. বাবুল পণ্ডিত। আয়েশা শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। অ্যাসিডে তার মুখের ডান চোয়াল, ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে। চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন সে।

আহত ছাত্রী জানায়, স্কুলে আসা–যাওয়ার পথে রাকিব, আয়মন ও জুলহাস নামের তিন বখাটে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করত।

শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ শিকদার বলেন, চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরে আনা হয়েছে। তারা স্বীকার করেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিও করেছে তারা।

ছাত্রীর মা-বাবা জানান, গতকাল রাতে আয়েশা তার দাদি আফরোজা বেগমের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। রাত সাড়ে তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা বারান্দার পশ্চিম পাশের জানালা খুলে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। আয়েশার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে জেগে উঠলেও কাউকে দেখতে পাননি। পরে তাঁরা আয়েশার ক্ষতস্থানে পানি ঢালতে থাকেন এবং ভোররাতে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে যান।

চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, অ্যাসিডে আয়েশার ডান চোয়াল, ডান হাতসহ শরীরের নিচের অংশ ঝলসে গেছে। এটা সম্ভবত ব্যাটারির অ্যাসিডটি।