মিথ্যা তথ্য দিয়ে বালাইনাশকের বিজ্ঞাপন প্রচারে করলে জেল-জরিমানা

অনিবন্ধিত বালাইনাশক বিক্রি ও মজুত এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে বালাইনাশকের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের জেল হবে। এই বিধান রেখে সোমবার জাতীয় সংসদে ‘বালাইনাশক (পেস্টিসাইডস) বিল-২০১৮’ পাস হয়েছে। 

বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। পরে জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। ১৯৭১ সালের এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বাতিল করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি পাস করা হলো।

বিলে বলা হয়েছে, রেজিস্টার্ড ব্র্যান্ডের কোনো বালাইনাশক বিক্রি বা বিক্রির জন্য উন্মুক্ত, মজুত বা বিজ্ঞাপন দিলে যার ট্যাগ, লেবেল বা প্যাকেজ চিহ্নিত ব্র্যান্ডের প্রকৃতি, উপাদান বা গুণাগুণ যুক্ত না হলে এবং বিজ্ঞাপনে বালাইনাশক মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কেউ এই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধ আবার করলে জরিমানা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ও অনাদায়ে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হবে।

উৎপাদনকারী বালাইনাশক আইনের বিধান অনুযায়ী উৎপাদন করা হয়েছে বলে ডিলারকে মিথ্যা নিশ্চয়তা দিলে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এ ছাড়া বালাইনাশকের নিবন্ধন নম্বরের অননুমোদিত ব্যবহার, বালাইনাশকের মান কমানো, পরিদর্শককে কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া ও নিবন্ধনের সময় মিথ্যা তথ্য দিলে ৭৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা বা এক থেকে দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনে।