হোঁচট খেয়েছে আ.লীগ, খুশি বিএনপি-জামায়াত

৯৬ উপজেলার ফল বিশ্লেষণ
৯৬ উপজেলার ফল বিশ্লেষণ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপেই হোঁচট খেল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা। গত ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলে বেশ হতাশ এ জোটের নেতারা।
জাতীয় নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি-জামায়াত উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলে বেশ খুশি। তবে সরকারকে চাপে রাখার জন্য কৌশল হিসেবে মুখে অসন্তুষ্টির কথা বলে যাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
৯৭টি উপজেলার মধ্যে ৯৬টির বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ফল স্থগিত আছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে ৪৩ উপজেলায় বিএনপি-সমর্থিত ও ১২ উপজেলায় জামায়াতে ইসলামী-সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। ফলে ৫৫ উপজেলায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থীরাই বিজয়ী হলেন।

৩৪টি উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের মিত্র ও এবারের সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি-সমর্থিত প্রার্থী মাত্র একটি উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন। ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি বা জাসদের সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা-কারীরা কেউ বিজয়ী হতে পারেননি।
বাকি চারজন স্বতন্ত্র। পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই উপজেলায় জেএসএস ও ইউপিডিএফ-সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় মোট উপজেলার অন্তত অর্ধেকে বিজয়ী হওয়ার আশা করলেও দলটি মাত্র এক-তৃতীয়াংশ উপজেলায় বিজয়ী হয়েছে।
২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারির উপজেলা নির্বাচনে এ ৯৬টি উপজেলার ৬৬টিতে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছিলেন। বিএনপি ১৪টি ও জামায়াত আটটিতে জয়ী হয়েছিল।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আইনগতভাবে নির্দলীয় এবং স্থানীয় নির্বাচন হলেও প্রথাগতভাবে দলীয়ভাবেই হয়ে থাকে। ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের ৪৪ দিন পর এ নির্বাচনকে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের নির্দেশক হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ সহিংস রাজনীতির কারণে সমালোচিত বিএনপি-জামায়াতও একে তাদের জনসমর্থন দেখানোর উপলক্ষ হিসেবে নিয়েছে। এবার ছয় পর্বে এ নির্বাচন হচ্ছে।
প্রথম পর্বের ফলাফল নিয়ে দলের মূল্যায়ন জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘...ভালো-মন্দ যাহাই আসুক, সত্যেরে লও সহজে।’
তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ফলাফলে বিএনপি সন্তুষ্ট নয় বলে জানান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি দল এভাবে যদি অ্যাডভান্টেজ না নিত, তাহলে আরও অনেক উপজেলায় বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হতেন।’

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এ নির্বাচনে প্রথম পর্বে ভোট প্রদানের হার ৬২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত নির্বাচনে (সব উপজেলা মিলে) এ হার ছিল ৬৮ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বুধবার শেষ হওয়া প্রথম পর্বের নির্বাচনে প্রাথমিক হিসাবে বিএনপির বিজয়ী ৪৩ প্রার্থী মোট ভোট পেয়েছেন প্রায় ২৪ লাখ। আর আওয়ামী লীগের বিজয়ী ৩৪ প্রার্থী মোট ভোট পেয়েছেন ১৬ লাখ ২৬ হাজার। অবশ্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-সমর্থিত জয়ী-পরাজিত সব প্রার্থীর মোট প্রাপ্ত ভোট গতকালের মধ্যে জানা সম্ভব হয়নি।

আ.লীগের সাংগঠনিক অনৈক্য: একক প্রার্থীকে সমর্থনের জন্য দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে সাত বিভাগে সাতটি দল গঠন করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এসব কমিটি বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। আবার যেখানে একক প্রার্থী ছিলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ঐক্য ছিল না। ফলে অর্ধেক উপজেলায় পাসের আশা করলেও বাস্তবে দলটি এক-তৃতীয়াংশ উপজেলায় ভোটারদের সমর্থন পেতে সক্ষম হয়েছে।
এলাকাভিত্তিক ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মন্ত্রী ও বড় নেতাদের এলাকায় দল-সমর্থিত প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। তৃণমূলের মতামত না নিয়ে মন্ত্রীর পছন্দের প্রার্থীকে দলীয় সমর্থন দেওয়ায় সেই প্রার্থী থেকে নেতা-কর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আবার তৃণমূলের সমর্থন পেলেও মন্ত্রী বা সাংসদের অপছন্দের প্রার্থী হলে তাঁকে হারানোর চেষ্টা হয়েছে দল থেকেই।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নির্বাচনী এলাকা সিলেটের গোলাপগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের এলাকা আটঘরিয়া, পূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের এলাকা মিরসরাই, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের এলাকা কুষ্টিয়া সদর, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের এলাকা সিংড়া, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমানের এলাকা বিশ্বনাথ, পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম সুজনের এলাকা আটঘরিয়ায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নির্বাচনী এলাকা ভেড়ামারায়ও বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির নেতা ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর বিরোধিতায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী হেরে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। পাবনার সাঁথিয়ায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের পক্ষে নির্বাচন করায় স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু তাঁর বিরোধিতা করেন। ফলে এ উপজেলায়ও জামায়াতের প্রার্থী বিজয়ী হন।
সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট—দুটিতেই স্থানীয় সাংসদ ইমরান আহমেদের অসহযোগিতায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী হেরে যান বলে স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করেছেন। গত নির্বাচনে উল্লিখিত প্রায় সব কটি উপজেলাতেই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছিলেন।

দলের এ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, যেখানে বড় নেতা ছিলেন না, সেখানে দলীয় প্রার্থী জিতেছেন। কারণ, সেই সব এলাকায় দল ঐক্যবদ্ধ।
আবার কোথাও কোথাও কেন্দ্রীয় নেতাদের অযাচিত হস্তক্ষেপে হিতে বিপরীত হয়েছে। তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব না দেওয়ায় যশোরের অভয়নগর উপজেলায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক কমিটি তৃণমূলকে উপেক্ষা করে এ উপজেলায় প্রার্থী সমর্থন দেয় বলে স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করেন।

ঢাকা বিভাগের ২৬টি উপজেলার মধ্যে ১২টিতে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এ বিভাগের মানিকগঞ্জ জেলার চারটি উপজেলার একটিতেও আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হতে পারেননি। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে দলীয় একাধিক প্রার্থী থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী।
এ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘ফল ভালো হয়নি। পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’
চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি উপজেলার মধ্যে কেবল একটিতে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এ বিভাগের সাংগঠনিক প্রধান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও পূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের নিজ উপজেলায় বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এ উপজেলায় দল-সমর্থিত প্রার্থী গিয়াসউদ্দিনের পাশাপাশি তিনি আতাউর রহমানকে প্রার্থী করে দেন। মন্ত্রীর প্রার্থী তৃতীয় হয়েছেন।
এ বিভাগে খারাপ ফলের জন্য সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ব্যর্থতাকেই স্বীকার করে নেন।
রাজশাহী বিভাগের ১৮টি উপজেলার মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ এ ফলাফল খারাপ বলে স্বীকার করলেও সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলো বিএনপি-অধ্যুষিত বলে মন্তব্য করেন।

সিলেট বিভাগে ১২টির মধ্যে ছয়টি উপজেলায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এখানে বেশির ভাগ উপজেলাতেই বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ বিভাগের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা খারাপ ফলের জন্য প্রার্থীর সমর্থনে মন্ত্রী ও সাংসদদের হস্তক্ষেপকে দায়ী করেন।

রংপুর বিভাগে ১৭টি উপজেলার মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ-সমর্থকেরা বিজয়ী হয়েছেন। তবে বরিশাল বিভাগের তিনটি উপজেলার মধ্যে তিনটিতেই আওয়ামী লীগ-সমর্থকেরা বিজয়ী হয়েছেন।
একক প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপিও, তবে ফল ভালো: জোটে থাকলেও এ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে স্থানীয়ভাবে সমঝোতা সব জায়গায় ছিল না। এবার ৯৭টি উপজেলার ২৫টিতে বিএনপি ও ২৮টিতে জামায়াত একক প্রার্থী দিয়েছিল। বিএনপির এ ২৫টির মধ্যে জামায়াত পাঁচটিতে এবং জামায়াতের ২৮টির মধ্যে ২৩টি উপজেলায় বিএনপিও প্রার্থী দেয়। ফলাফলে দেখা যায়, বিএনপি ১০টি ও জামায়াত ১২টিতে জয়ী হয়েছে।
দেখা যায়, বিএনপি যে ২৫ উপজেলায় একক প্রার্থী দিয়েছিল, এর ১৫টিতেই তারা হেরে গেছে। এ ১৫ উপজেলায় বিএনপির প্রার্থীরা নয়টিতে আওয়ামী লীগের কাছে, দুটিতে জামায়াত, একটি করে উপজেলায় জাতীয় পার্টি, ইউপিডিএফ ও জেএসএসের কাছে হেরে যান।

জামায়াত যে ২৮ উপজেলায় একক প্রার্থী দিয়েছিল, তার আটটিতে বিএনপি ও ছয়টিতে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হন।
গতকাল দলের বিভিন্ন স্তরে কথা বলে দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের ভূমিকায় বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা ক্ষুব্ধ। তাঁরা মনে করেন, জামায়াতের কারণে অন্তত ১০ উপজেলায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সব জায়গায় জামায়াত প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এদের সঙ্গে ঘর করা যায় না।’
ফলাফলে দেখা যায়, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর যেসব এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা হয়েছিল, সেসব এলাকার মধ্যে বগুড়া, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও রাজশাহীতে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

বগুড়ার ১২টি উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ছয়টির নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত তিনটি করে উপজেলায় জিতেছে। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা ধুনট, দুপচাঁচিয়া ও নন্দীগ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই ছিলেন না। সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও শেরপুরে জয়ী প্রার্থীদের প্রায় অর্ধেক ভোট পান আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম দাবি করেন, ভোটাররা যদি ঠিকমতো ভোট দিতে পারতেন, তাহলে যেসব উপজেলায় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে, তার বেশির ভাগেই জিতত। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হয় না। তাই প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকা উচিত। সামনেও যদি সরকার জোরজবরদস্তি করে ভোট নেয়, তাহলে বিএনপির সংসদ নির্বাচন বয়কটের যথার্থতা আরও প্রকটভাবে প্রমাণিত হবে।
প্রথম পর্বের ফলাফলের মূল্যায়ন জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা নির্বাচন জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের একটা শক্তিশালী নির্দেশক। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল দেখলে বোঝা যায়, জনপ্রিয়তার একটা ধারাবাহিকতা আছে। গ্রামগঞ্জে আওয়ামী লীগের সমর্থন আছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো তারা হোয়াইটওয়াশ হয়নি।