ডাকাত সন্দেহে র্যাবের একটি দল অবরুদ্ধ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার জোরালমোড় এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাত সন্দেহে র‌্যাবের একটি দলকে ঘেরাও করে এলাকাবাসী। এ সময় তাঁদের মারধরে র‌্যাবের এক সদস্য আহত হন। প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর অতিরিক্ত র‌্যাব ও পুলিশ গিয়ে দলটিকে উদ্ধার করে।
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে নাচোল উপজেলার বিভিন্ন আদিবাসী এলাকায় নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে দুটি পিকআপ ভ্যানে করে ক্যাম্পে ফিরছিল র‌্যাবের ১২ জনের ওই দলটি। তাদের মধ্যে চারজন ছিল সাদা পোশাকে।
এ দলের আগে মোটরসাইকেলে করে সাদা পোশাকে ফিরছিল আরও চার সদস্য। দলটি জোরালমোড় এলাকায় পৌঁছে একটি মিশুক থামিয়ে তল্লাশি চালায়। অবৈধ কিছু না পেয়ে মিশুকটিকে ছেড়ে দেয় তারা।
এর কিছুক্ষণ পরই গ্রামবাসী জোট বেঁধে মোটরসাইকেলে থাকা র‌্যাব সদস্যদের ঘিরে ফেলে। ডাকাত সন্দেহে তাঁরা র‌্যাব সদস্যদের পরিচয়পত্র ও মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেন।
এ সময় মারধরের শিকার হন র‌্যাবের এক সদস্য। পেছনে থাকা পিকআপ দুটি এগিয়ে গেলে তাঁদেরও ঘিরে ফেলে লোকজন। কয়েক হাজার মানুষ ঘিরে ধরায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন র‌্যাব সদস্যরা। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংসদ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গোমস্তাপুর থানার ওসিসহ অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য গিয়ে চার ঘণ্টা পর রাত পৌনে ১২টার দিকে অবরুদ্ধ র‌্যাব সদস্যদের উদ্ধার করেন।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আহমেঞ্চদ জানান, ডাকাত সন্দেহেই র‌্যাব সদস্যদের ঘেরাও করেছিল গ্রামবাসী। আশপাশের তিন ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ এতে অংশ নেয়। তারা এতটাই উত্তেজিত ছিল যে স্থানীয় সাংসদ, ইউএনও ও পুলিশের কথাও শুনছিল না।
ইউএনও খন্দকার ইয়াসির আরেফিন জানান, শেষ পর্যন্ত বল প্রয়োগ ছাড়াই র‌্যাব সদস্যদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল দুপুরে র‌্যাবের পক্ষ থেকে অনানুষ্ঠানিক একটি ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে জানানো হয়, অনির্ধারিতভাবে ওই সড়ক দিয়ে ক্যাম্পে ফিরছিল র‌্যাবের দলটি। পথে ডাকাত সন্দেহে এলাকাবাসী তাদের অবরুদ্ধ করে। ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এ ঘটনা হয় বলে র‌্যাব দাবি করে।