শ্রাবণে আসছে ঘোর ঘনঘটা

তিন দিন পরই আষাঢ় ডিঙিয়ে আসছে শ্রাবণ। আর তখন ঘোর বর্ষাকাল। কিন্তু কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির দেখা এখনো মেলেনি। আধা ঘণ্টা, বড়জোর ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতেই আকাশ ফরসা। মেঘ কেটে গিয়ে উঁকি দিচ্ছে সূর্য। তারপর অস্বস্তিকর গরম। রোদ-বৃষ্টির এই লুকোচুরি আরও কয়েক দিন চলবে। এরপর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, আষাঢ় মাসে শেষ দিকে এখন সারা দেশে মৌসুমি বায়ু বয়ে চলেছে। এর সক্রিয়তা কম। এ কারণে বৃষ্টিও কম। এ জন্য জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমছে না। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর গরম বাড়ছে। জলীয় বাষ্প বাতাসে থাকায় শরীরে ঘাম হচ্ছে। আর ঘাম হলে অস্বস্তি অনুভূত হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী তিন দিন আবহাওয়ার এই অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

এদিকে গতকাল বুধবার সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে ৩৭ মিলিমিটার। এ ছাড়া সিলেটে ১৬, গোপালগঞ্জে ১৫, কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১৩, বরিশাল, রাঙামাটি ও রাজধানী ঢাকায় ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তুলনামূলক কম বৃষ্টি হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের গরম বেশি পড়েছে। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৩৪, ময়মনসিংহে ৩৩, চট্টগ্রামে ৩৪, সিলেটে ৩৪ দশমিক ৭, রংপুরে ৩৪ দশমিক ৬, খুলনায় ৩৩ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

১৪ ও ১৫ জুলাই বৃষ্টির মাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাবে। এরপর কিছুটা কমলেও ১৮ জুলাই থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।