অপরূপ রংধনু বলয়

দুপুরে সূর্যকে ঘিরে রংধনু বলয়ের দেখা মেলে। গোপালপুর, পাবনা, ১২ জুলাই। ছবি: হাসান মাহমুদ
দুপুরে সূর্যকে ঘিরে রংধনু বলয়ের দেখা মেলে। গোপালপুর, পাবনা, ১২ জুলাই। ছবি: হাসান মাহমুদ

পাবনার আকাশে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সূর্য ঘিরে সৃষ্টি হয় বিশাল আকৃতির রংধনু বলয়। অসাধারণ সুন্দর এই বলয় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করে। তাঁরা ঘর থেকে বেরিয়ে মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য অবাক চোখে অবলোকন করেন।

বাংলাদেশের মানুষ চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণের সঙ্গে পরিচিত হলেও সূর্য বলয়ের দুর্লভ এই দৃশ্যের সঙ্গে তেমন একটা পরিচিত নয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম পাবনার মানুষের নজরে আসে চোখ জোড়ানো এ দৃশ্য। তবে নাটোরসহ আরও কয়েক জায়গায় এ দৃশ্য দেখা গেছে।

শহরের নারী-পুরুষ ও শিশুরা ঘর থেকে বেরিয়ে দীর্ঘক্ষণ দুর্লভ এই দৃশ্য উপভোগ করে। এ নিয়ে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। অনেকেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়ে নিজেদের ভালো লাগার কথা জানান।

সূর্যের আলো বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ারে পৌঁছানোর পর বরফে পড়ে প্রতিসরণ হয়। যার দৃশ্যমান রূপ এই রংধনু বলয়। গোপালপুর, পাবনা, ১২ জুলাই । ছবি: হাসান মাহমুদ
সূর্যের আলো বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ারে পৌঁছানোর পর বরফে পড়ে প্রতিসরণ হয়। যার দৃশ্যমান রূপ এই রংধনু বলয়। গোপালপুর, পাবনা, ১২ জুলাই । ছবি: হাসান মাহমুদ

বেলা একটা পর্যন্ত এই দৃশ্য স্পষ্ট দেখা গেছে। এরপর ধীরে ধীরে তা মিলিয়ে যায়।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, এই বলয় ২২ ডিগ্রি হ্যালো (halo) নামে পরিচিত। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিজ্ঞানীরা বলেন, বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ারে ছোট ছোট বরফকণা রয়েছে। সূর্যের আলো স্ট্রাটোস্ফিয়ারে পৌঁছানোর পর বরফে পড়ে তা প্রতিসরণ হয়। হ্যালো ২২ ডিগ্রি থেকে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। তবে ২২ ডিগ্রি হলেই এই বলয় সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়। বায়ুমণ্ডলে জমে থাকা বরফ কণা থেকে প্রতিসরণ হওয়ায় বৃষ্টিরও সম্ভাবনা থাকে। সেই সম্ভাবনাকে সত্যি করে বেলা দুইটায় নেমে এল এক পশলা ভারী বৃষ্টি।

দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো নাটোরেও দেখা যায় এই বর্ণ বলয়। বড়াইগ্রাম, ১২ জুলাই। ছবি: মুক্তার হোসেন
দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো নাটোরেও দেখা যায় এই বর্ণ বলয়। বড়াইগ্রাম, ১২ জুলাই। ছবি: মুক্তার হোসেন