মহানগর পিপি বললেন, 'দুঃখজনক'

এক হাজার ইয়াবা বড়ি রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক আসামি জামিনে বেরিয়ে গেছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি একজন মাদক ব্যবসায়ী। আর আসামিপক্ষের আইনজীবীর দাবি সাধারণ স্টেশনারি ব্যবসায়ী।

ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নুরুল ইসলাম গতকাল বুধবার মো. শাহীন হোসেন নামের এক আসামিকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আসামি শাহীন হোসেন তাঁর মাকে নিয়ে হজে যাবেন। এ কারণে গত বছর হজ নিবন্ধনও করেছেন। মাকে নিয়ে হজে যাওয়ার সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছেন। আদালতে এই মর্মে কাগজপত্রও জমা দিয়েছেন। এ বিবেচনায় আদালত জামিন দিয়েছেন।

ঢাকার মহানগরের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু প্রথম আলোকে বলেন, যেখানে সরকার মাদক নির্মূল করার চেষ্টা করছে, সেখানে এ ধরনের মামলায় জামিন হওয়া ঠিক নয়। এর আগে মহানগর দায়রা আদালত ও ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ১০২টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধারের মামলায় দু-তিন মাসের মধ্যে জামিন দিতেন না। এখন হচ্ছে। এটা দুঃখজনক।

আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাননীয় হাইকোর্ট মাদকের মামলায় দ্রুত জামিন দিচ্ছেন না। সেখানে এক হাজার ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় জামিন হওয়াটা অস্বাভাবিক।’

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ৫ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আসামি শাহীন হোসেন ও শওকত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর এক আসামি রফিক মিয়া ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার শাহীন হোসেনের কাছ থেকে এক হাজার ও শওকত হোসেনের কাছ থেকে পাঁচ শ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এরশাদ হোসেন যাত্রাবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলা করেন। পুলিশ তদন্তে শেষে ২৯ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেয়। পরে মামলাটি বিচার নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

গত বুধবার আসামি শাহীন হোসেনের পক্ষে এম হোসেন নামের এক আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। জামিনের আবেদনে আইনজীবীর নামের সিল বা ঠিকানা না থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আইনজীবীরা জানান, মাদক মামলায় জামিন ঠেকাতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে প্রতিটি ইয়াবার ক্ষেত্রে সাধারণত দুই দিন করে হাজতবাস বিবেচনায় জামিন দেওয়ার একটি প্রথা চলে আসছিল। বর্তমানে এই প্রথা মানা হচ্ছে না।