আজ দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণকাজ উদ্বোধন

>

• ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসার কথা ২০২৩ সালের মে-জুনে
• ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসবে

পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণকাজের উদ্বোধন হচ্ছে আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার সকালে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ঈশ্বরদী শহরকে বর্ণিলভাবে সাজানো হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। রূপপুরের অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে পাবনার একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।

উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ শিল্পবিষয়ক উপপ্রধানমন্ত্রী ইউরি ইভানোভিচ বরিসভ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার পরিচালক দোহি হান।

এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসার কথা ২০২৩ সালের মে-জুনে।

দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণকাজের উদ্বোধনের আগে ৮ জুলাই বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স প্রদান করে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয়েক্সপোর্টকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ শেষ করতে ৬৬ মাস বা সাড়ে পাঁচ বছর সময় পাবে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসবে।

‘ভিভিইআর ১২০০’ প্রযুক্তির রূপপুরের দুটি ইউনিটের প্রতিটিতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট করে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। রূপপুর প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা। রাশিয়ার সঙ্গে সই হওয়া সাধারণ চুক্তি (জেনারেল কন্ট্রাক্ট) অনুযায়ী প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা। সাধারণ চুক্তির পরে ব্যয় বেড়েছে। প্রকল্প ব্যয়ের ৯০ শতাংশ ঋণ হিসেবে বাংলাদেশকে দিচ্ছে রাশিয়া। বাকি ১০ শতাংশ জোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার। এর বাইরে প্রকল্পে যে ব্যয় বাড়ছে, তা বাংলাদেশ সরকারকে বহন করতে হবে। এসব ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে প্রকল্প এলাকায় ভারী যন্ত্রপাতি ও মালামাল পরিবহনের জন্য রেললাইন স্থাপন, আরিচা থেকে পাকশী পর্যন্ত নদী খনন, রূপপুর থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ ব্যয়।