প্রার্থীর সঙ্গে শিক্ষকের ফোনালাপ ফাঁস

>
  • প্রার্থী ও দুই শিক্ষকের কথোপকথনের ৩ অডিও ফাঁস
  • তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
  • কমিটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিভাগে প্রভাষক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে ওই প্রার্থীর চাকরি না হওয়ায় প্রার্থীকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। টাকা নেওয়া ও চাকরি না হওয়া নিয়ে প্রার্থী ও ওই দুই শিক্ষকের মধ্যে মুঠোফোনে হওয়া কথোপকথনের তিনটি অডিও ফাঁস হয়েছে। ওই তিন অডিও রেকর্ড থেকেই এসব তথ্য জানা গেছে।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ প্রথম আলোকে বলেন, অডিওর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এসেছে। এ ব্যাপারে গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল (আইসিই) বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মাহবুবুর রহমানকে এই তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ছাত্র উপদেষ্টা রেজওয়ানুল ইসলাম ও ইংরেজি বিভাগের সভাপতি আক্তারুল ইসলাম।
সূত্র বলেছে, সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে ৩৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। গত শনিবার সিন্ডিকেট সভায় এসব শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই দিনই একটি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষকের সঙ্গে এক প্রার্থী ও প্রার্থীর স্বামীর কথোপকথনের তিনটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়।
কথোপকথন পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ওই নিয়োগ-বাণিজ্যে সহযোগী হিসেবে চাকরি পাইয়ে দিতে প্রার্থীর কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী প্রার্থী নগদ ১০ লাখ টাকা এবং বাকি ১০ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে সরবরাহ করেন। তবে নিয়োগ নিশ্চিত করতে না পারায় ওই দুই শিক্ষক পরে প্রার্থীকে টাকা ফেরত দেন। গত শুক্রবার রাতে প্রার্থীর স্বামীকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে টাকা ফেরত দেওয়া হয় বলে ফাঁস হওয়া রেকর্ডের কথোপকথনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘আমি দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীল)। যদি এমন ধরনের কোনো চুক্তি তাঁরা করে থাকেন, সেটি কার্যকর হোক বা না হোক, তাঁদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন
করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’