চার কারণে কঠিন হচ্ছে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মেয়েরা পড়াশোনা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে—অনেক অভিভাবকই সে চিন্তা করতে পারছেন না। সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে তাঁরা মেয়েকে বিয়ে দেওয়াকেই একমাত্র সমাধান বলে ধরে নিচ্ছেন। অন্যদিকে মেয়েরাও ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ভয় পাচ্ছে বা তাদের সামনে তেমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই। মেয়েদের সিদ্ধান্ত বা মতামতকে এখন পর্যন্ত তেমন একটা গুরুত্বও দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

আজ সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘তারুণ্যের শক্তি : আমরাই পারি বাল্যবিবাহ রুখে দিতে’ প্রকল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় বক্তারা এ চারটি কারণের কথা উল্লেখ করেন। বক্তারা বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্য প্রাপ্তির সীমিত সুযোগ। স্থানীয় উন্নয়নে মেয়েদের অংশগ্রহণ একেবারেই থাকে না। এ ছাড়া পারিবারিক ও সামাজিক বাধার মতো কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হলে বাল্যবিবাহ অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

গার্লস নট ব্রাইডস বাংলাদেশ জোট এ অভিজ্ঞতা বিনিময় সভার আয়োজন করে। এতে স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনটির সমন্বয়ক ও ব্র্যাকের পরিচালক আন্না মিনজ বলেন, যেসব এলাকায় বাল্যবিবাহ নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে, সেসব এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকায় বাল্যবিবাহ হচ্ছে না, কিন্তু ওই এলাকার মেয়েকেই অন্য এলাকায় নিয়ে গোপনে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সভায় জানানো হয়, ‘তারুণ্যের শক্তি : আমরাই পারি বাল্যবিবাহ রুখে দিতে’ শীর্ষক প্রকল্পটি মূলত প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে মেয়েদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়। গার্লস নট ব্রাইডস বাংলাদেশ জোটের সচিবালয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ব্র্যাক। ব্র্যাকের নেতৃত্বে অন্য সদস্য সংস্থা দুই বছরব্যাপী প্রকল্পটি রংপুরের মিঠাপুকুর, গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ, পিরগাছা ও কাউনিয়া এবং বরিশালের আগৈলঝরা, মুলাদি, হিজলা, বাকেরগঞ্জ ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় বাস্তবায়ন করে।

সভায় গার্লস নট ব্রাইডস বাংলাদেশ জোটের সদস্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিজ নিজ সংগঠনের ইতিবাচক বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরেন।