স্পিড ব্রেকারে প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ, নিহত ৩

মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত পুলিশের এক সদস্য। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, টাঙ্গাইল, ১৭ জুলাই। ছবি: কামনাশীষ শেখর
মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত পুলিশের এক সদস্য। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, টাঙ্গাইল, ১৭ জুলাই। ছবি: কামনাশীষ শেখর

অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি ফিরছিলেন পুলিশ ও স্বজনেরা। কিন্তু টাঙ্গাইল শহরে কুমুদিনী কলেজ মোড়ে আসতেই তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই ছাত্রী এবং তার খালাতো ভাই ও মামা নিহত হন। আহত হন তিন পুলিশ সদস্য ও গাড়ির চালক। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও চৌধুরীবাড়ি এলাকার অপহৃত স্কুলছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বর্ণা, তার খালাতো ভাই ফারুক (৪২) ও মামা সিরাজুল ইসলাম (৫৫)।

আহত ব্যক্তিরা হলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার এসআই তানভীর (৩৩), এএসআই হাবিব (৩০), পুলিশ কনস্টেবল আজাহার (৪৫) ও মাইক্রোবাসের চালক মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকার আকতার (৩৫)।

দুর্ঘটনায় আহত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তানভীর আহমেদ জানান, সোনারগাঁও থানা থেকে মাইক্রোবাস নিয়ে তাঁরা কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অপহৃত জান্নাতুলকে উদ্ধার করতে রাজশাহী যান। সেখান থেকে ফেরার পথে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড সিএনজি পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে সোনারগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা হন। পথে শহরের কুমুদিনী কলেজ মোড় সড়কে স্পিড ব্রেকারে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি লাগে। এ সময় মাইক্রোবাসের পেছনে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে গাড়িতে আগুন লেগে যায়। ঘটনাস্থলেই জান্নাতুল ও তার খালাতো ভাই ফারুক নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে জান্নাতুলের মামা সিরাজুল ইসলামের মৃত্যু হয়।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. সদর উদ্দিন জানান, তিনজনই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মাইক্রোবাসের চালক আখতার দগ্ধ হয়েছেন এবং গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। তবে তিন পুলিশ সদস্য আহত হলেও দগ্ধ হননি।