বজ্রপাতে প্রাণ গেল চারজনের

দেশের তিনটি জেলায় মঙ্গলবার বজ্রপাতে চারজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। জেলাগুলো হলো সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও চুয়াডাঙ্গা। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে মারা গেছেন দুজন।

প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এসব খবর জানা গেছে।

সিরাজগঞ্জ: দুপুরে পৃথক বজ্রপাতে জেলার বেলকুচিতে প্রবাসী এবং রায়গঞ্জে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামের মালয়েশিয়াপ্রবাসী রতন তালুকদার (৫০) ও রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া মল্লিক চান উত্তরপাড়া গ্রামের মাহমুদুল হাসান (৩২)।

ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার ফজলুল হক বলেন, রতন কিছুদিন আগে ছুটি কাটাতে দেশে এসেছিলেন। দুপুরে হালকা বৃষ্টি হয়। তাদের বাড়িতে পানি জমে। রতন ওই পানি বের করার জন্য নালার কাজ করছিলেন। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির পাশের জমিতে কৃষিকাজ করছিলেন মাহমুদুল হাসান। বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, মাহমুদুল হাসানকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

বগুড়া: দুপুরে জেলার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের কুড়িগাঁতী গ্রামে নিহত হন কৃষক মাহমুদ হোসেন (২৮)। স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতিদিনের মতো মাহমুদ হোসেন পাওয়ারটিলার দিয়ে ধানের জমি চাষ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. এরফান বলেন, ‘বজ্রপাতে কৃষক নিহত হওয়ার বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানা গেছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা: বিকেলে জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায় কৃষক চুনু মণ্ডলের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের সোনাতনপুর মাঠে বজ্রপাতের ওই ঘটনা ঘটে। চুনু মণ্ডল একই ইউনিয়নের বলেশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ঘটনার সময় চুনু মণ্ডল পাওয়ারটিলার দিয়ে জমি চাষ করছিলেন।