গাজীপুরের ভোট নিয়ে বক্তব্য ব্যক্তিগত নয়: বার্নিকাট

মার্শা বার্নিকাট
মার্শা বার্নিকাট

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, সমালোচনাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের পর সরকার ও আওয়ামী লীগ থেকে সমালোচনা করা হয়। এ ব্যাপারে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে মার্শা বার্নিকাট বলেন, সমালোচনাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সমালোচনা গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে ও স্বাধীনভাবে মত প্রকাশে সাহায্য করে। তাঁর দেওয়া বক্তব্যের পর সরকারের যাঁরা দ্বিমত পোষণ করেছেন, সেটা তাঁদের বলার অধিকার আছে। তিনি বলেন, গাজীপুরের সিটি নির্বাচন নিয়ে দেওয়া বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত মত নয়। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হয়েই তিনি কথা বলেছেন।

ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী কি না, জানতে চাইলে বার্নিকাট বলেন, তিনি সব সময়ই আশাবাদী। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার অনেক উদাহরণ আছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র চায় এবং বাংলাদেশেও গণতন্ত্রের লক্ষ্যেই কাজ করছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে দুই ঘণ্টার এ বৈঠকে আসন্ন নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান। ২০১৫ সালে নিয়োগ পাওয়া মার্শা বার্নিকাটের মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে। তাঁর জায়গায় আসছেন নতুন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন। তিনি বলেন, বৈঠকে মার্শা বার্নিকাটের চলে যাওয়া এবং তিন সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা হয়। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত জানতে চান, অনিয়ম হলে কীভাবে তদন্ত হয় এবং পরে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ইসি সচিব জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন, খুলনাতে যে অনিয়ম হয়েছে, তার প্রতিটিতেই তদন্ত হয়েছে এবং প্রতিবেদন অনুযায়ী পুলিশ ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

গতকাল সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বলে, তিনি সিটিতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই এবং পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন জানান, গণতান্ত্রিক দেশে অনেকেই অনেক কিছু বলতে পারে। তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ বাদে অন্য প্রসঙ্গে কথা বলতে চাননি।