রোগীদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে সুযোগ নিতেন তাঁরা

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ফাইল ছবি
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ফাইল ছবি

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খুলনাবাসী ছাড়াও আশপাশের অনেক জেলার প্রচুর রোগী আসেন। হাসপাতালের নিয়ম-কানুন, অলি-গলি অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারেন না এসব রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। এ সুযোগটিই নিতেন দালালেরা। বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার জন্য রোগীদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে হাসপাতালের পাশে থাকা অসংখ্য নিম্নমানের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান তাঁরা। ওই সব ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষই এই দালাল নিয়োগ করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার এমন ১৬ জন দালালকে দণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সকালে হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ওই ১৬ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে দেয় র‌্যাব-৬।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন মরিয়ম বেগম, হাজেরা বেগম, বিলকিস বেগম, রুবি বেগম, জেসমিন বেগম, পারুল বেগম, মফিজুর রহমান, শওকত হোসেন, কামেলা খাতুন, রহিমা খাতুন, ডলি, বিউটি-১, জেসমিন, মনজিলা, সাবিনা বেগম ও বিউটি-২। এর মধ্যে হাজেরা ও বিউটি-২ কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদের ২ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম আরাফাতুল আলম।

র‌্যাব-৬ এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, এর আগেও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুবার অভিযান চালানো হয়েছিল। ওই সময়ও কয়েকজন দালালকে ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। দালালেরা বিভিন্ন মেয়াদে সাজাও পেয়েছিলেন। অভিযান চালানোর পর কিছুদিন হাসপাতালটি দালালমুক্ত থাকে।

এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, হাসপাতালটিতে দালালের তৎপরতা আবার বেড়েছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে গত তিন দিন ধরে নজর রাখা হয়। এরপর আজ সকালে অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে সোপর্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেন।