ছিনিয়ে নেওয়া রাকিব টাঙ্গাইলে গ্রেপ্তার

ছিনতাই হওয়া তিন আসামি সালাউদ্দিন, রাকিব হাসান (মাঝে) ও বোমা মিজান। তাদের মধ্যে রাকিব হাসান টাঙ্গাইলে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ছবি: প্রথম আলো।
ছিনতাই হওয়া তিন আসামি সালাউদ্দিন, রাকিব হাসান (মাঝে) ও বোমা মিজান। তাদের মধ্যে রাকিব হাসান টাঙ্গাইলে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ছবি: প্রথম আলো।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রকাশ্যে প্রিজন ভ্যানে গুলি চালিয়ে ও বোমা মেরে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া আসামিদের মধ্যে জেমএমবির জঙ্গি রাকিব হাসান ধরা পড়েছেন। আজ রোববার বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা থেকে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি রাকিব হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের সদর দপ্তর থেকে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

ধরা পড়া রাকিব হাসানের (৩৫) বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহের বংশীবেল এলাকায়। তিনি জেএমবির শুরা সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা আছে; এগুলোর মধ্যে একটিতে তিনি মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন। এ ছাড়া একটি মামলায় তাঁর যাবজ্জীবন এবং একটি মামলায় তাঁর ১৪ বছরের সাজা হয়েছে।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে ত্রিশালের সাইনবোর্ড এলাকায় প্রিজন ভ্যানে গুলি চালিয়ে ও বোমা মেরে জঙ্গি মামলার তিন আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ সময় গুলিতে পুলিশের এক সদস্য নিহত হন। এক উপপরিদর্শকসহ (এসআই) আহত হন প্রিজনভ্যানে থাকা পুলিশের তিনজন সদস্য। পুলিশ জানায়, ছিনিয়ে নেওয়া তিন আসামিই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সঙ্গে যুক্ত। জেএমবির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই এই তিন আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে।

বাকি দুই আসামির মধ্যে সালাউদ্দিন ওরফে সালেহীনের (৩৮) বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। তিনি জেএমবির শুরা সদস্য। তিনি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ছাত্র ছিলেন। ২০০৬ সালে তাঁকে জঙ্গি তত্পরতায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চট্টগ্রাম থেকে আটক করা হয়। ২০১০ সালে তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা আছে, এর মধ্যে তিনটি মামলায় তিনি মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন।

বোমা মিজানের বাড়ি (৩৫) জামালপুর সদরের শেখের ভিটা এলাকায়। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা আছে। একটি মামলায় তিনি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পাঁচটিতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পেয়েছেন। তিনি ২০১৩ সাল থেকে কাশিমপুর কারাগারে আছেন। জেএমবির প্রথম সারির নেতাদের ফাঁসির পর সংগঠনটি পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মিজান। জেএমবির দুর্ধর্ষ নেতা তিনি। বোমা কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে সংগঠনটিতে রসদ জোগানোর বিষয়ে তিনি ছিলেন তত্পর।