খালেদার নির্দেশে একাত্তরের কায়দায় গণহত্যা: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ’৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশে যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, লুটপাট করেছে, নির্যাতন করেছে, বিএনপির নেত্রীর নির্দেশে আন্দোলনের নামে এখন একই কায়দায় হত্যা, নির্যাতন, লুটপাট চলছে।

আজ রোববার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ তিনি আন্তর্জাতিক এ স্টেডিয়ামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনে তাঁর (খালেদা জিয়া) হুকুমে পেট্রলবোমা মেরে, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এরা কি কোনো মানুষ? কোনো মুসলমান কি পারে একজন মুসলমানের গায়ে আগুন দিতে?’ তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করে করতে হয়, আর বিএনপির নেত্রী আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধমন্দির পুড়িয়েছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। ইসলাম ধর্মে তো তা বলে না। কোরআন শরীফের শিক্ষা হলো, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।

জামায়াতে ইসলামীর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াতে ইসলাম কেবল নামে ইসলাম, কাজে তো কোনো ইসলামি কর্মকাণ্ড দেখি না। তারা কখনোই মানুষের সঙ্গে থাকে না।’ তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের মে মাসে বায়তুল মোকাররমে তারা জায়নামাজে আগুন দিয়েছে। শত শত কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে। কোরআন শরিফ যে পোড়ায়, সে কীভাবে ইসলাম নাম দিয়ে রাজনীতি করে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন দেশে খাদ্য উত্পাদন বেড়ে যায়। খাদ্যঘাটতি দূর হয়ে খাদ্য উদ্বৃত্ত হয়। আমাদের শাসনামলে জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। মানুষের জীবনে শান্তি-নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করেছি।’ তিনি বলেন, ‘উপযুক্ত দাম না পেয়ে লবণচাষিরা কষ্টে আছেন, তা আমরা জানি। তাঁরা যাতে উপযুক্ত দাম পেতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমরা করব।’

আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে ভূমিহীন, নিঃস্ব মানুষদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, বয়স্ক-ভাতা, বিধবা-ভাতা দিচ্ছি।  প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছি, মেধাবী শিক্ষার্থীরা যাতে ডিগ্রি পর্যন্ত পড়াশোনা চালিতে যেতে পারে, তার জন্য বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়েছে। এসএসসি পর্যন্ত বিনা মূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে।’