জঙ্গিদের দুজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, আরেকজন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত

ময়মনসিংহের ত্রিশালে আজ রোববার সকালে ছিনিয়ে নেওয়া জেএমবির তিন আসামিই দণ্ডপ্রাপ্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটিতে রাকিব হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাসেল, কারাগারের পার্ট-১-এ সালাউদ্দিন ওরফে সজীব ওরফে তৌহিদ ও কারাগারের পার্ট-২-এ মিজান ওরফে বোমা মিজান ওরফেজাহিদুল হাসান সুমন ছিলেন। ডান্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় তাঁদের ময়মনসিংহের আদালতে হাজির করার জন্য আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তাঁরা তিনজনই জেএমবির জঙ্গি তত্পরতা মামলার আসামি। তাঁদের মধ্যে সালাউদ্দিন ও রাকিব মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং মিজান যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার সূত্র জানায়, সালাউদ্দিনের (৩৮) বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। তিনি জেএমবির শুরা সদস্য। তিনি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ছাত্র ছিলেন। ২০০৬ সালে তাঁকে জঙ্গি তত্পরতায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চট্টগ্রাম থেকে আটক করা হয়। ২০১০ সালে তিনি কাশিমপুর কারাগারে যান। তিনি ১৩ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, এর মধ্যে তিনটিতে তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২৪টি মামলা বিচারাধীন আছে।

মিজানের বাড়ি (৩৫) জামালপুর সদরের শেখেরভিটা এলাকায়। তাঁর বিরুদ্ধে ২১টি মামলা বিচারাধীন আছে। পাঁচটি মামলায় তিনি সাজা পেয়েছেন, এর মধ্যে একটি মামলায় তাঁর ৩০ বছরের কারাদণ্ড আছে। তিনি ২০১৩ সাল থেকে কাশিমপুর কারাগারে আছেন। জেএমবির প্রথম সারির নেতাদের ফাঁসির পর সংগঠনটি পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মিজান। জেএমবির দুর্ধর্ষ নেতা তিনি। বোমা কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে সংগঠনটিতে রসদ জোগানোর বিষয়ে তিনি ছিলেন তত্পর।

রাকিব হাসানের (৩৫) বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহের বংশীবেল এলাকায়। তিনি জেএমবির শুরা সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে ২৯টি মামলা বিচারাধীন আছে। চারটি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে, এর মধ্যে একটিতে তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।