পরিবেশদূষণের প্রধান কারণ দুর্নীতি

দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় অনেক আইন থাকলেও তা নানা প্রভাবের কারণে প্রয়োগ হয় না। দূষণকারীরা নানা উপায়ে আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। কারণ প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এসব দূষণ করছে।

আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় অনুষ্ঠিত পরিবেশবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সংসদ আয়োজিত তিন দিনের এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে শতাধিক আলোকচিত্রীর তোলা পরিবেশবিষয়ক ১৬০টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। সারা দেশ থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংগ্রহ করা চার হাজার আলোকচিত্র থেকে বাছাই করা এসব ছবি প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। মূলত পরিবেশদূষণ, বন্য প্রাণী, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে এসব ছবি তোলা হয়েছে।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, দেশের পরিবেশদূষণের প্রধান কারণ দুর্নীতি। চট্টগ্রাম বন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, কোনো বিদেশি জাহাজ যদি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় এসে দূষিত কোনো পদার্থ ফেলে যায়, তাহলে এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হতো না। তারা বাংলাদেশকে বর্জ্য ফেলার স্থানে পরিণত করেছিল। কিন্তু এ ধরনের দূষণ প্রতিরোধে দেশে আইন আছে। আমরা তা প্রয়োগ করে অনেক বিদেশি জাহাজকে জরিমানা করেছি।

মুনির চৌধুরী বলেন, দেশের প্রভাবশালী শিল্পকারখানার মালিকেরা হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে কারখানা বানান। কিন্তু বর্জ্য পরিশোধনযন্ত্র স্থাপন করেন না, করলেও তা বন্ধ রাখেন। তাঁরা নির্বিচারে পরিবেশ দূষণ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষক ও পরিবেশ সংসদের প্রধান উপদেষ্টা এ কে লুৎফুল কবির বলেন, ‘মানুষ হিসেবে আমরা পরিবেশের অনেক ক্ষতি করে থাকি।’ প্রথম আলোর স্লোগান ‘বদলে যাও, বদলে দাও’কে পরিবেশ রক্ষায় অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নৈতিক দূষণ বন্ধ করলে পরিবেশদূষণ রোধ করা যাবে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক আশরাফুল আলম, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির যুগ্ম সম্পাদক মফিজুল ইসলামসহ পরিবেশ সংসদের নেতারা।