বরিশালে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর প্রচারে পুলিশি বাধা

লিফলেট বিলি ও পথসভা করার জন্য বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বের হলে এখানেই বাধার সম্মুখীন হন। ছবি: সংগৃহীত
লিফলেট বিলি ও পথসভা করার জন্য বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বের হলে এখানেই বাধার সম্মুখীন হন। ছবি: সংগৃহীত

বরিশালে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারকে লিফলেট ও পথসভা করতে বাধা দিয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের একটি দল।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ৭০-৮০ জনের মতো একটি দল নিয়ে লিফলেট বিলি ও পথসভা করার জন্য বের হন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন বিএনপি নেতাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। তাঁর পেছনে সাদাপোশাকে পুলিশ অবস্থান নেয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএনপির নেতাদের বলেন, আটজন করে একটি দল নিয়ে বিএনপি পথসভা বা লিফলেট বিলি করতে বের হতে পারবে।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন বলেন, এখানে বাধা দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিএনপির নেতা-কর্মীরা আচরণবিধি ভেঙে মিছিল করতে পারবেন না, তাঁদের শুধু এটা জানানো হয়েছে। বাধা দেওয়া হয়নি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এমন নির্দেশনার প্রতিবাদ করে বিএনপি। বিএনপির নেতারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে তাঁরা লিফলেট ও পথসভা করতে না বেরিয়ে ঘটনাস্থলেই একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, আজ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিশাল বড় সমাবেশ করা হয়েছে। সেখানে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। অথচ বিএনপি লিফলেট বিতরণ ও পথসভা করতে বের হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে।

মজিবর রহমান সরোয়ার অভিযোগ করেন, আটজন আটজন করে নেতা-কর্মী ভাগ হয়ে জনসংযোগ করার কথা বলেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আজকের এই বাধাদান, এই নির্বাচন আগামী দিনগুলোর জন্য শঙ্কা তৈরি করল। গণতন্ত্রের জন্য এটি নজিরবিহীন ঘটনা। তিনি বরিশালবাসীকে ভোটের মাধ্যমে নীরব বিপ্লব ঘটানোর আহ্বান জানান।

সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ করে মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, বিএনপিকে কোনোভাবে সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই নির্বাচন একপক্ষীয় নির্বাচন হচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় প্রশাসন। এখানে প্রশাসন একপক্ষীয়ভাবে বাধা দিয় যাচ্ছে, আর সরকারি দল মিছিল-সমাবেশ করে যাচ্ছে।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের দিনরাত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বলেন, দিনে-রাতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এই গ্রেপ্তারের কারণ, যেন বিএনপির পোলিং এজেন্টরা নির্বাচন কেন্দ্রে হাজির হতে না পারেন।

বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব এবায়দুল হক, মহানগরের সহসভাপতি আবুল হোসেনসহ মহানগরের নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।