মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস, ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নূরুল ইসলাম এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রামের হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মী মোহাইমিনুল ইসলাম রাহিম।
আজ শনিবার চট্টগ্রাম নগরের হামজারবাগ এলাকার বাসা থেকে মোহাইমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মোহাইমিনুল ইসলাম রাহিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন হাজেরা তজু কলেজের কর্মকর্তা আব্দুল করিম।

মোহাইমিনুল চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের ডিগ্রি পাস কোর্সের শেষ বর্ষের ছাত্র। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী বলে সংগঠন সূত্রে জানা গেছে।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ন করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে সপ্তাহ দুয়েক আগে একটি মামলা হয়। এরপর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর অনুমতি নিয়ে মামলাটি গ্রহণ করে মোহাইমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকেলে তাঁকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছি। আগামীকাল রোববার রিমান্ড শুনানি হবে।’

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, গত ২৮ জুন দুপুরে মোহাইমিনুলসহ ১০-১২ জন কলেজে অনধিকার প্রবেশ করেন। তাঁরা অধ্যক্ষকে না পেয়ে উপাধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে একাদশ শ্রেণির ভর্তি ফি নিয়ে কৈফিয়ত তলব করেন। এ সময় তাঁরা কলেজের ভেতরে উত্তেজনামূলক স্লোগান দেন। গত ৩০ জুন বাদী হাজেরা তজু কলেজের কর্মকর্তা আব্দুল করিম মন্ত্রীপুত্র মুজিবকে জড়িয়ে মোহাইমিনুলের স্ট্যাটাস দেখতে পান।

বাদী আরজিতে উল্লেখ করেন, মোহাইমিনুল ইসলাম মিথ্যা ও বানোয়াট স্ট্যাটাস দিয়ে কলেজ এবং মন্ত্রীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। বাদীর আরজি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (১) ধারায় গ্রহণ করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।

প্রসঙ্গত, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগে নগর ছাত্রলীগের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে মোহাইমিনুল ইসলাম রাহিম হাজেরা তজু কলেজে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি তাঁর অভিমত ফেসবুকে লেখেন। এতে মন্ত্রীর সম্মানহানি হয়েছে উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়েছে।