রাজশাহী ও মুন্সিগঞ্জে র‍্যাবের সঙ্গে পৃথক 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ২

রাজশাহী ও মুন্সিগঞ্জে র‍্যাবের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার নবগঙ্গা এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মুকুল (৪৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। অন্যদিকে, আজ রোববার ভোররাত ৪টা ৫৫ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাগড়া ইউনিয়নের ছত্রভোগ এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সোহরাব হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন।

র‍্যাব বলছে, নিহত ব্যক্তিরা শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা রাজশাহী নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার নবগঙ্গা এলাকার ভাদু শেখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্কুলের দক্ষিণ পাশে একটি আখখেতের ভেতরে থাকা আমগাছের নিচে কিছু লোকের উপস্থিতি টের পান। র‌্যাবের টহল দল সেদিকে এগোলে কিছু লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে তারা টহল দলকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি ছুড়তে থাকে। র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে পাঁচ মিনিটের মতো গুলিবিনিময় হয়। পরে ঘটনাস্থলে অজ্ঞাতনামা একজনকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিন থেকে চারজন পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ম্যাগাজিন, দুটি গুলিসহ একটি পিস্তল, একটি টর্চলাইট, হাঁসুয়া, চারটি স্যান্ডেল, একটি গ্যাসলাইট ও ৫৮ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, নিহত মুকুলের নামে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক চোরাচালানসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে।

অন্যদিকে, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাগড়া ইউনিয়নের ছত্রভোগ এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১১-এর কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মহিতুল ইসলাম। তিনি বলেন, সোহরাব শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। বহুদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গতকাল দিবাগত রাতে ছত্রভোগ এলাকায় মাদকের বড় চালান আসার গোপন তথ্য পেয়ে র‍্যাব সেখানে অভিযানে যায়। র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহরাবের সঙ্গীরা র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে। র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। ওই সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে র‍্যাবের দুই সদস্য সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রেজাউল ইসলাম ও সিপাহি মো. কামারুজ্জামান আহত হন। গোলাগুলি শেষে সেখানে মাদক ব্যবসায়ীদের দলের এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এএসপি মহিতুল ইসলামের ভাষ্য, ওই ব্যক্তিকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়। তিনি এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় হত্যা, অস্ত্র, মাদক, পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা রয়েছে। তাঁর বাড়ি বাগড়া ইউনিয়নের রুদ্রপাড়া এলাকায়। তাঁর ছোট ভাই পাজেলও মাদক ব্যবসায়ী। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন।

র‍্যাব জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি গুলি, ৬০০টি ইয়াবা ও নগদ ১০ হাজার ৫০০ টাকা পাওয়া গেছে।