বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে মহানগর আওয়ামী লীগ নগর কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে। ২৫ জুলাই, বরিশাল। ছবি: প্রথম আলো
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে মহানগর আওয়ামী লীগ নগর কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে। ২৫ জুলাই, বরিশাল। ছবি: প্রথম আলো

বিএনপি ভীত হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে বলে অভিযোগ করেছে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ।

আজ রোববার সন্ধ্যায় মহানগর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আব্বাস চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।

গোলাম আব্বাস চৌধুরী বলেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করছে। বিএনপি মূলত বিমর্ষ হয়ে পড়েছে। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে। তিনি বলেন, বিএনপি যেসব অভিযোগ করেছে, সেসব অভিযোগের ভিত্তি নেই। কারণ বরিশাল সিটি করপোরেশনে কোনো বহিরাগত নেই। যাঁরা ছিলেন, তাঁরা চলে গেছেন।

বরিশালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে দাবি করে গোলাম আব্বাস বলেন, বরিশালে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। সিলেট ও রাজশাহীতে ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বরিশালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিএনপি তাদের রুটিন ওয়ার্ক অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করছে। বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সহধর্মিণী আওয়ামী লীগের কর্মীকে হুমকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে থানায় জিডি করা করা হয়েছে।

নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করে গোলাম আব্বাস বলেন, এখন পর্যন্ত পরিবেশ শান্তিপূর্ণ আছে। আগামীকাল জয়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগ শতভাগ আশাবাদী।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ কী করেছে, জানতে চাইলে গোলাম আব্বাস বলেন, এ বিষয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগের বিষয়ে গোলাম আব্বাস বলেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ধরনের অপরাধী চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর, মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আফজালুল করিম, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ, সাবেক সচিব সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গোলাম সরোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।