খালেদার আপিল নিষ্পত্তির সময় নিয়ে আদেশ কাল

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তিতে সময় বাড়াতে করা আবেদনের ওপর কাল আদেশ দেবেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সোমবার শুনানি নিয়ে কাল আদেশের এই দিন ধার্য করেন।

এর আগে ১৬ মে এক আদেশে আপিল বিভাগ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে খালেদার করা ওই আপিল নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে খালেদা জিয়া  আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই এক আদেশে আপিল বিভাগ বলেন, বিষয়টি (খালেদার পুনর্বিবেচনা আবেদন) ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখা হলো। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে যদি শুনানি (খালেদার আপিল) শেষ না হলে, সময়ের প্রার্থনা বিবেচনা করা হবে। এরপর সময়ের মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়ে ২৬ জুলাই আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা।

এরপর সময় বাড়ানোর আবেদনের বিষয়টি গতকাল রোববার আদালতের নজরে আনেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুনর্বিবেচনার আবেদন ও সময়ের মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়ে দুটি আবেদনই কার্যতালিকায় উঠে। আদালতে আবেদনের পক্ষ শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুনানির পর আদালত বলেন, কাল আদেশের জন্য রাখা হলো।

ওই মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। এরপর থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি। এই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মার্চ হাইকোর্ট থেকে চার মাসের জামিন পান তিনি, যা আপিল বিভাগে বহাল থাকে। এই জামিনের মেয়াদ বাড়াতে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১৯ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন। এর আগে ১৮ জুলাই ওই জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তাঁর আইনজীবীরা আরজি জানালে হাইকোর্ট ২৬ জুলাই পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়ান। এর এক দিন আগে জামিনের মেয়াদ বাড়াতে খালেদার আইনজীবীরা আরজি জানালে হাইকোর্ট ৩১ জুলাই পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ান।