বাড়ছে নিয়ম ভাঙার প্রতিযোগিতা

শারমিন মুরশিদ
শারমিন মুরশিদ

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের একটা প্রধান অনুষঙ্গ ছিল সহিংসতা। এখন সহিংসতা কম হয়। তার পরিবর্তে বড় হয়ে উঠেছে নিয়ম ভাঙার প্রতিযোগিতা। ইসি এই প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রণ করতে বা সামাল দিতে ঠিক পেরে উঠছে না।

যেমন, নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য অপরাধীদের গ্রেপ্তার সব সময়ই করা হয়। কিন্তু সেটা যদি নির্বাচনের একেবারে কাছাকাছি সময়ে এসে বাছবিচার না করে করা হয়, তাহলে মানুষের মধ্যে একটা সন্দেহের সৃষ্টি করে। ভোটারদের মধ্যে আতঙ্কও সৃষ্টি হতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে ইসির দায়িত্ব থাকে পুলিশ যেন বাছবিচার না করে নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে এসে গ্রেপ্তার করতে শুরু না করে সেটা নিশ্চিত করা। কিন্তু সেটা তারা করতে পারছে বলে মনে হয় না।

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ প্রার্থী ও দলের একটা অভিযোগ, তাঁদের এজেন্টদের দায়িত্ব পালন করতে না দেওয়ার। ইসির দায়িত্ব সব প্রার্থী ও দলের এজেন্টদের দায়িত্ব পালন নির্বিঘ্ন করা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তারা সেটা করতে পারেনি। তবে এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর কিছুটা কৌশলী হওয়া দরকার। একটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল-সব প্রার্থী ও দলের এজেন্টদের তালিকা আগেভাগেই ইসির কাছে দেওয়া হবে। ইসি সেই তালিকাভুক্ত এজেন্টদের দায়িত্ব পালন নির্বিঘ্ন করবে। এভাবে কতগুলো কৌশল অবলম্বন করে অনেক অনিয়ম মোকাবিলা করা সম্ভব।

তিন সিটির নির্বাচনে প্রচারের জায়গা থেকে দেখলে বোঝা যায়, মাঠ উত্তপ্ত হয়ে আছে। এই অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও সহযোগিতা ছাড়া শুধু ইসির পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা কঠিন।

লেখক: নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী, ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক